জানি না জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে পারবো কিনা। আসছে ১৬ ডিসেম্বর, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা পতাকা উড়িয়ে ছিলাম ১৯৭১ সালে। দেখতে দেখতে ৫৪ বছর পূর্তিতে যখন দেশ মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন আজ বয়স্ক হওয়ায় মৃত্যু অপেক্ষায় গুনছি। শরীরটা ভালো না, বাসায় সারাদিন বিছানায় বসে পুরানো স্মৃতিচারণে দিন পার করছি। অনেক দিন পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদে আসলাম সহযোদ্ধাদের সাথে দেখা করতে। সেই পুরানো চেহারা মানুষগুলো দেখে কিছুটা ভালো লেগেছে কিন্তু শরীরটা ভালো লাগছে না। দোয়া চাই নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে। জীবনের কঠিন সময় দেশের জন্য দিতে পেরেছি- সেটাই সারাজীবন গর্ববোধ করি। আগামী দিন বাংলাদেশের বিশ্বের দরবারে মাথা উচুঁ হয়ে দাড়াবে একটা চাওয়া মহান আল্লাহ দরবারে।’’
শুক্রবার কেন্দ্রীয় খেয়াঘাট সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে অসুস্থ শরীর নিয়ে কথা বলেন নারায়ণগঞ্জের প্রবীন রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহর আলী চৌধুরী।
ক্লিন ইমেজের এই নেতা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নিজের সর্ব্বোচ্চ দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা এনেছিলেন। সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহর আলী চৌধুরী গুরতর অসুস্থ হয়ে দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকায় নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। অধ্যাপক জাহেদ আলীর তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দীর্ঘ দিন যাবৎ।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আগরতলা সহ নারায়ণগঞ্জের ব্যাপক মুক্তিযুদ্ধে আব্দুল কুদ্দুস মাখন ও নারায়ণগঞ্জের এ.কে.এম শামছুজ্জহার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক সংগঠকের বলিষ্ঠ দায়িত্ব পালনে প্রশংসিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহর আলী চৌধুরী। তিনি নারায়ণগঞ্জের সংগ্রামী রাজনৈতিক পুরুষ স্বাধীনতার আন্দোলনের ঐ সময়ের অন্যতম নেতা, ২৭শে মার্চ পাক সেনাদের প্রতিরোধ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী, তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, স্বাধীন বাংলাদেশ ঢাকা বিভাগের অন্যতম মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আলী আহম্মদ বাচ্চু ও আব্দুল লতিফ কমান্ডার গণের নেতৃত্বে ব্যাপক ভাবে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক ও যুদ্ধে দায়ীত্ব পালনকারী নেতা ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের প্রবীন রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহর আলী চৌধুরী রোগমুক্তি কামনায় নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে আন্তরিকভাবে দোয়া প্রার্থনা করেছেন তার পরিবার ও স্বজনরা ।








































আপনার মতামত লিখুন :