তারুণ্যের সমাবেশে জানান দিবে নারায়ণগঞ্জ

তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কেন্দ্রঘোষিত ঢাকা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে চমক দেখানোর অপেক্ষায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচি সফল করতে এরই মধ্যে নেতাকর্মীরা দফায় দফায় মিটিং করেছেন। নিয়েছেন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। এবারের তারুণ্যের সমাবেশে রেকর্ডসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত করার বিষয়ে সবাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে এদিন নারায়ণগঞ্জের শক্তিমত্তা জানান দেওয়া হবে। সেই সাথে সকলেরই প্রচেষ্টা থাকবে এদিন সর্বোচ্চ শোডাউন দেখানোর জন্য।

দলীয় সূত্র বলছে, বুধবার ২৮ মে রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ হবে। আর এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ থেকে নেতাকর্মীদের চোখে পড়ার মতোন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাবে।

প্রস্তুতির বিষয়ে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীব বলেছেন, আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রথম থেকে তার রাজনৈতিক গতিপথ বা দ্বারায় তারুণ্যকে নিয়েই রাজনীতি করতে চায় এবং তারুণ্যনির্ভর রাজনীতি করে। সারা বাংলাদেশে তারুণ্যদের নিয়ে বিশেষ পোগ্রাম হচ্ছে। স্বাস্থ্য, পরিবেশ আবার কখনো আগামীর বাংলাদেশকে তারুণ্য কেমন দেখতে চায় এসব বিষয়ে। আগামী ২৮ মে’র তারুণ্যের সমাবেশের জন্য নারায়ণগঞ্জ ছাত্রদলের প্রতিটি ইউনিটকে জানিয়ে দিয়েছে। সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে, তো আমাদের কমিটি নাই সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো অথরিটিও নাই। তবুও আমরা ব্যাপক জনবল নিয়ে পোগ্রামে উপস্থিত থাকবো। আমরা এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে শক্তির জানান দিতে চাই এটা ভুল ধারণা। আমাদের সঙ্গে আগে থেকেই মানুষ যুক্ত থাকতে চাইতো। এখন যেহেতু আমাদের একটা ভালো পরিবেশ এর আগেও আমাদের সঙ্গে মানুষ মিশতে চাইতো, আসতে চাইতো, আমাদের পোগ্রামে যেতে চাইতো। কিন্তু বিভিন্ন প্রশাসন, আ:লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নির্যাতনের কারণে তারা আমাদের সঙ্গে আসতে পারতো না। এখন একটা সুযোগ হয়েছে, সময় হয়েছে। কোনো শক্তির প্রদর্শন না, আমরা আসলে মূল মেসেজ দিতে চাই আমরা কাদের দিয়ে দল চালাতে চাই, কিভাবে দল চলবে।

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু বলেন, মহানগরের চারটি ইউনিটের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আমরা দফায় দফায় মিটিং করেছি। বিগত ১৭ বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে  টিকে ছিলাম। বিগত সময়ে যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ থেকে আমরা বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। বিগত বছরগুলোতে আমরা মামলা, হামলা, জুলুম নির্যাতন সহ্য করেও আমরা মাঠ ছাড়ি নি। আমরা যে গণঅভ্যুত্থান পেয়েছি, তারুণ্যের সমাবেশের মাধ্যমে আগামীতে বাংলাদেশ কিভাবে পরিচালিত হবে, তরুণদের জন্য বিএনপি যদি জনগণের ভোটের নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে জনগণের জন্য আমাদের দল কি করবে এইসব মেসেজ পৌঁছানোর জন্যই এই সমাবেশ। এই পোগ্রাম শুধু আমাদের জন্য না। জনগণ এবং তরুণরা ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য।

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেছেন, বিগত সময়ে হামলা, মামলায় জর্জরিত থেকেও আমরা রাজনীতিটা করেছি। অত্যাচার নির্যাতনের পরও আমরা মাঠ ছাড়িনি। যেকোনো পোগ্রামে আমাদের দলীয় ঢাকার নেতৃবৃন্দরা নারায়ণগঞ্জের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কখন নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি মিছিল আসবে এবং কর্মসূচি সফল হবে। আমাদের নয়টি ইউনিটের প্রতিটিতে আমরা কথা বলছি। ইউনিটগুলো থেকে আমরা যে আশ্বস্ততা পেয়েছি আমাদের অতীতের যতগুলো কর্মসূচি ছিল তার চেয়ে দশ গুণ বেশি নেতাকর্মী নিয়ে আমরা মাঠে উপস্থিত হবো। অতীতে অনেক নেতাকর্মী নিয়ে হয়তো উপস্থিত হতে পারি নি। কারণ প্রশাসনিক বিভিন্ন বাধা থাকতো। সে সময় আমরা যে যার মত করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতাম। বিগত সময়ে যেভাবে আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে মিছিল নিয়ে যেকোনো সমাবেশ সফল করেছি। ঠিক ওইভাবেই আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জের দিকে বিবেচনা করেই অপেক্ষা করছে।