News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পলাতক আওয়ামী লীগ নেতারা আতঙ্কে


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৫, ১০:২৫ পিএম পলাতক আওয়ামী লীগ নেতারা আতঙ্কে

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নানা কৌশলে ভারতের কলকাতায় আশ্রয় নেওয়া নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ১৮ মে পশ্চিমবঙ্গে আওয়ামী লীগের তিনজনকে গ্রেপ্তারের খবরের পর আতঙ্ক বেড়ে যায়। অনেকেই ওই খবর পেয়ে কলকাতা ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন। আবার অনেকেই বাইরে বের হওয়া কমিয়ে দিয়েছেন।

৫ আগস্টের পর ভারত চলে যান শামীম ওসমান ও পরিবারের সদস্যরা। পরে তাদের দিল্লীতে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজারে দেখা মিলে। সেখান হতে পরিবার নিয়ে দুবাই হয়ে আমেরিকাতে যান শামীম ওসমান।

কলকাতায় মারকুইজ স্ট্রিটে দেখা মিলেছিল প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানকে। এছাড়া কলকাতায় কয়েকদিন ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম। সোনারগাঁয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ রনি কলকাতায় আশ্রয় নেন।

নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগে নেতারাও শুরুতে কলকাতায় আশ্রয় নেন। তারা নিউটাউন, মারকুইজ স্ট্রিট সহ আশপাশ এলাকাতে অবস্থান নেন। সেখানে শুরুতে হোটেলে অবস্থান নেন। পরে তারা বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। স্থানীয় বিভিন্ন পার্ক ও নিউ মার্কেট এলাকাতে সন্ধ্যার পরেই এসব নেতাদের মিলনমেলা বসতো।

তবে সবকিছুতে আতঙ্ক ধরেছে ১৮ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তারের পর। গ্রেপ্তাররা সবাই নিজেদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন। তারা হলেন— মজনু গাজী, মোহাম্মদ কামাল শেখ ওরফে ইদ্রিস আলী এবং মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ওরফে মিলন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, প্রাণ রক্ষার জন্য তারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।

কলকাতা থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামি এসব পলাতক নেতারা। তবে কলকাতায় তারা আয়েশিভাবে থাকছেন। কোনো কিছুরই অভাব নেই সেখানে। গাড়ি-বাড়ি, ব্যক্তিগত কর্মী, ব্যক্তিগত চিকিৎসক থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে থাকছেন তারা। কেউ কেউ ভারতে তাদের সন্তানদের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন। তাদের অনেকেরই ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্য আর সম্পদ আছে। তাই পলাতক থাকলেও অর্থসম্পদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ভারতের সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপারে ‘ওয়াকিবহাল’। তাই কোনো অপরাধ না করলে তাঁদের ‘হয়রানি’ করা হয় না।

Islam's Group