News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চারজনকে মাঠে নামাতে চায় বিএনপি


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৫, ১০:১৮ পিএম চারজনকে মাঠে নামাতে চায় বিএনপি

নারায়ণগঞ্জের বিএনপির রাজনীতিতে ভেতরগত শুদ্ধি অভিযান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা সমীকরণ। স্বচ্ছ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে দলটির হাই কমান্ড। সাম্প্রতিক সময়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে বহিস্কার ও চাঁদাবাজী মামলার পর নড়েচড়ে বসেছে বিএনপি। আগামীতে নির্বাচন ও দল পরিচালনার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে বিতর্কহীন ও সুষ্ঠু ধারার রাজনীতিকদের বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন, প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জের দুটি আসন ও মহানগর বিএনপির রাজনীতিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ রয়েছে কেন্দ্রের। এজন্য চলছে নানা ধরনের বিশ্লেষণ ও সমীকরণ। ইতোমধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। এর মধ্যে একজন ব্যবসায়ীও আছেন। তাঁদের উপর ভর করেই আগামীতে শহর ও শহরতলীর রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

রিয়াদ চৌধুরী গ্রেপ্তারের পর নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আলোচনায় এসেছেন মোহাম্মদ শাহআলম। কেন্দ্রীয় কমিটির এ সদস্য এর আগে থানা বিএনপির সভাপতি ও জেলা কমিটির সহ সভাপতির মত পদে ছিলেন। কমিটি গঠনে তাঁর হস্তক্ষেপ ও অনুসারীদের প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ ছাড়া আর কোন বিতর্ক ছুঁতে পারেনি তাকে। ফতুল্লার এ শিল্পপতি বিএনপি নেতা বিগত দিনে রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় থাকলেও ক্লিন ইমেজ থাকায় দল তাঁকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। ইতোমধ্যে তাকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজনীতির ময়দান কিংবা নির্বাচনে মনোনয়ন- যে কোন একটিতে দেখা যাবে শাহআলমকে।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম স্বচ্ছ ও সর্বজন গৃহীত একজন ব্যক্তিত্ব। নেই কোন অহংকার কিংবা ছিটেফোঁটা বিতর্ক। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও মহানগর বিএনপির সভাপতির মত গুরুত্বপূর্দ দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কিছুটা ব্যাকফুটে যান। এখন তিনি সরব। দলও তাঁকে নিয়ে ভাবছেন। হাই কমান্ড মনে করছেন আবুল কালামের মত নেতাকে দল কিংবা নির্বাচনে মনোনয়ন দিলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে না। সকলেই তাঁকে সাদরে গ্রহণ করবে। বিএনপিও এর সুফল নিতে চান।

অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান আছেন আলোচনায় মহানগর বিএনপিতে। বিগত দিনে তিনিও বিতর্ক এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছেন। সে কারণেই বিএনপির নীতি নির্ধারকেরাও সাখাওয়াতে আস্থা রাখতে চান।

আলোচনার শীর্ষে মাসুদুজ্জামান। নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সাবেক এ সভাপতি একই সঙ্গে মডেল গ্রুপের কর্ণধার। বিএনপির অনেক নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক। রাজনীতি কিংবা জনপ্রতিনিধি এ দুটিতেই তিনি মানাননসই মনে করা হচ্ছে। তবে দল চাচ্ছে তাকে রাজনীতির চেয়ে জনপ্রতিনিধি করতে। মাসুদ বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে যে কোন স্থানে লড়াই করলে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

ইতোমধ্যে সর্বোচ্চ ফোরাম এসব নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসেছেন। কেউ কেউ এ চার নেতার সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। জানার চেষ্টা করেছেন স্থানীয় রাজনীতির সবশেষ পরিস্থিতি।

বিএনপি মনে করছে ৫ আগস্টের পর কিছু কিছু স্থানে নেতিবাচক ঘটনায় একেবারেই বিতর্কের বাইরে না। সে কারণেই দলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরানোর উদ্যোগের কারণেই স্বচ্ছ ব্যক্তিত্ব তালাশ করা হচ্ছে।

Islam's Group