News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মেয়র হবার লড়াই তৈমূর কেন বাদ থাকবেন


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৫, ১০:২৯ পিএম মেয়র হবার লড়াই তৈমূর কেন বাদ থাকবেন

আদালতের রায়ে মেয়র পদ পেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত হওয়া শাহাদাত হোসেন। ২০২১ সালের নির্বাচনে শাহাদাত হোসেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিমের কাছে পরাজিত হন। এই ঘটনায় একই বছর মামলা দায়ের করেন তিনি এবং সেই মামলার রায়ে গত বছরের নভেম্বরে মেয়র পদে আসীন হন। এই রায়ের পর ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেয় আদালত। ইশরাকও একইভাবে ২০২০ সালের নির্বাচনের পর আদালতে মামলা করেছিলেন। যদিও তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়র পদে আসীন হতে পারেননি। এজন্য তার অনুসারীরা নিয়মিত আন্দোলন করে যাচ্ছে নগরভবনের সামনে।

পরপর দুইজনকে আদালতের রায়ে মেয়র হতে দেখে নিজেকে মেয়র ঘোষণা করতে আদালতে আবেদন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীম। তবে আদালত সেই আবেদন খারিজ করেন।

নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজিত হওয়া প্রার্থীদের আদালতের মাধ্যমে মেয়র হবার এমন চেষ্টার চিত্র যখন সারাদেশে আলোচনায়। তখন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া তৈমূর আলম খন্দকার কি মেয়র পদ পেতে আদালতের কাছে দ্বারস্থ হবেন? নাকি তৃণমূল বিএনপিতে যোগদানের কারণে এই আবেদন করার নৈতিক সাহসই পাবেন না?

২০২২ সালের জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তৎকালীন জেলা বিএনপির আহবায়ক তৈমূর আলম খন্দকার ৯২ হাজার ভোট লাভ করেন। অন্যদিকে আইভী এক লাখ ৬০ হাজার ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পরপরেই এই ফলাফলকে কারচুপির ফলাফল ও ইভিএমের কারসাজি বলে দাবী করেন তৈমূর আলম খন্দকার।

শুধু মেয়র পদেই পরাজিত হয়েই থেমে থাকেননি। একে একে হারাতে হয় জেলা বিএনপির আহবায়ক পদ এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ। শেষতক নির্বাচনে অংশ নেয়ার অভিযোগে দল থেকেই বহিস্কার করে দেয়া হয় তাকে। বহিস্কার হবার পরেও বিএনপির রাজনীতি চালিয়ে গেলেও ২০২৩ সালের শেষনাগাদ জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি ভাঙ্গার দল হিসেবে পরিচিত তৃণমূল বিএনপিতে যুক্ত হন। সেই দলে যুক্ত হয়ে দলের মহাসচিব পদ অর্জন করেন এবং নারায়ণগঞ্জ ১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে এই নির্বাচনেও লজ্জাজনক পরাজয় বরন করতে হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তৈমূর আলম খন্দকারের নির্বাচনী ভাগ্য সুপ্রসন্ন নয়। অধিকাংশ নির্বাচনে হয় তিনি শেষ সময়ে সরে দাড়িয়েছেন বা সরিয়ে দেয়া হয়েছে। অথবা নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি পরাজিত হয়েছেন। এই সময়ে যখন চারদিকে আদালতের রায়ে মেয়র হবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনে পরাজিত হওয়া প্রার্থীরা। সেই সময়ে তিনি একই পথে চেষ্টা চালিয়ে মেয়র পদ পেতে পারেন কিনা সেই চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এর মাধ্যমে যদি তার জনপ্রতিনিধি হবার স্বপ্ন পূরণ হয়। একদিকে তিনি সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী, অন্যদিকে প্রায়ই বিভিন্ন ইস্যুতে আদালতে রিট করে থাকেন। ফলে আদালতেই হতে পারে তার জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন পূরনের সম্ভাবনা।

Islam's Group