News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২

আসন ভাঙার পেছনে ৬ জন


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম আসন ভাঙার পেছনে ৬ জন

নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটির সীমানা পুননির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সিদ্ধান্তকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনকে নিয়ে। কারণ অন্যান্য আসনে সীমান্তে বড় ধরনের রদবদল না হলেও এই আসনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। নতুন সীমানায় সোনারগাঁয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা যা নাসিকের ১ থেকে ১০ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

এর আগে সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চল ছিল নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত। এই পরিবর্তনের ফলে নতুন সীমানা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিশেষ করে বিএনপির অনেক এমপি প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, সোনারগাঁয়ের সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জকে যুক্ত করার পেছনে কৌশলগতভাবে কাজ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জকে সোনারগাঁয়ের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য বিএনপির ছয়জন নেতা নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছিলেন। তারা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ডিএইচ বাবুল, সিদ্ধিরগঞ্জ ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিছ শিকদার, সোনারগাঁ থানা বিএনপির নেতা শাহ আলম মুকুল, সোনারগাঁ উপজেলা যুবদল নেতা আশরাফ প্রধান ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নাসির উদ্দিন।

এরা প্রত্যেকেই গিয়াস উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অভিযোগ, গিয়াসের স্বার্থেই তার অনুসারীরা এই আবেদন করেন এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সেই আবেদনই কার্যকর করে।

এর আগে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবনায় সিদ্ধিরগঞ্জকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে যুক্ত করা হয়েছিল। পাশাপাশি সোনারগাঁয়ের সঙ্গে বন্দর উপজেলা এবং সিটি করপোরেশনের কিছু অংশও যুক্ত করা হয়। তবে বন্দরবাসীর তীব্র ক্ষোভ ও আইনি লড়াইয়ের (রিট) কারণে কমিশন প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হয়। শেষ পর্যন্ত কমিশনের সংশোধিত সিদ্ধান্তে সিদ্ধিরগঞ্জকে সোনারগাঁয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

ভোটারদের মধ্যেও এ সীমানা পরিবর্তন নিয়ে বিভক্ত মতামত দেখা দিয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জের অনেক ভোটার সোনারগাঁয়ের সঙ্গে একীভুত হওয়াকে স্বাগত জানালেও, অন্য অংশ মনে করছে এ সিদ্ধান্তে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ উপেক্ষা করা হয়েছে। বিশেষ করে বন্দর ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের ভোটাররা আগের সিদ্ধান্ত বাতিল হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সব মিলিয়ে, বিএনপির ছয় নেতার আবেদনের প্রেক্ষিতেই সিদ্ধিরগঞ্জকে সোনারগাঁয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয় বলে রাজনৈতিক মহলে এখন আলোচনা চলছে। এতে সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে গিয়াস উদ্দিন চলে এলেও, মান্নানের মতো অভিজ্ঞ নেতা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। ফলে আসন্ন নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলছে।

Islam's Group