নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন নিয়ে নাটকীয়তা শেষ হচ্ছে না। এখানে বিএনপি ঘোষিত প্রাথমিক তালিকাতে থাকা মাসুদুজ্জামান একের পর এক সিদ্ধান্ত দিয়ে দলকে বিতর্কিত করে তুলেছেন। শেষতক শাস্তিস্বরূপ এখানে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানকে মনোনীত করা হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর গুলশানে প্রার্থীদের প্রশিক্ষণে মাসুদুজ্জামানের স্থলে সাখাওয়াতকে দেখা গেছে। বদলে যাচ্ছে রাজনৈতিক ও ভোটের সমীকরণ।
গত ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ছিলেন মাসুদুজ্জামান। তখন থেকে তিনি এলাকায় গণসংযোগ, সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন।
এর মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন ও মনোনয়ন না কেনার ঘোষণা দেন মাসুদুজ্জামান। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত এ প্রার্থীর ঘোষণার পর দেশব্যাপী সাড়া পড়ে যায়। তিনি নিরাপত্তা ইস্যু দেখালেও পেছনে রয়েছে নানা কারণ।
ঘোষণার পর বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারেনি নেতাকর্মীরা। টানা তিনদিন ধরে কর্মসূচী। বরফকলে রাজনৈতিক কার্যালয়ে টানা দুইদিন বিক্ষোভ হয়।
পরে শুক্রবার ছুটির দিনেও অনুসারীরা শহরের খানপুরে অবস্থান করে মিছিল বের করে। মিছিলটি যায় তল্লাতে মডেল গ্রুপের কারখানার সামনে। ছুটির দিনেও কারখানাতেই অবস্থান করেন মাসুদ। মিছিল যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিচে নেমে এসে নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
ওই সময়ে তিনি তারেক রহমানের কাছে ক্ষমা চান। সে রাতেই সাখাওয়াত হোসেন খানকে ফোন করা হয় কেন্দ্র থেকে। শনিবারের প্রশিক্ষণে দাওয়াত করা হয়। তিনিও দলবল নিয়ে গুলশানে হাজির হন। সাখাওয়াতের দাবী দল তাকে সম্মানিত করেছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি হতে যাচ্ছে আগামীতে ধানের শীষের প্রার্থী মনে করছেন অনুসারীরা।
তবে মাসুদ বলেছেন, কেন্দ্র থেকে চূড়ান্ত ঘোষণার আগে কোন কিছু স্পষ্ট বলা যাবে না।
সাখাওয়াত বলেন, শনিবার আমি দলের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মনোনয়নপত্র নিয়ে আসছি। দল আমার উপর যে দায়িত্ব দিয়েছে আমি তা যথাযথভাবে পালন করবো ধানের শীষকে বিজয়ী করে আনার মাধ্যমে।





































আপনার মতামত লিখুন :