নারায়ণগঞ্জে সাবেক এমপি সেলিম ওসমানকে ধরতে তার অফিসে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা দলের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে এ সময় তাকে তার বাড়ি ও অফিসে পাওয়া যায়নি। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নারায়ণগঞ্জ ছাড়েন সেলিম ওসমান। ফতুল্লার দাপায় তাঁর মালিকানাধীন উইজডম এটায়ার্স রয়েছে। তিনি নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় একাধিক ও রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানাতেও বৈষম্যবিরোধী মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। তাঁকে ধরতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল সেলিম ওসমান নিয়মিত দাপার কারখানাতে যাতায়াত করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, সাবেক এই সাংসদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। সেই জায়গা থেকে তিনি পুলিশের চোখে পড়লে সাথে সাথে আইনের আওতায় আনা হবে। যেহেতু তিনি বেশ কয়েকটি মামলার আসামী, তাই তাকে গ্রেফতারের জন্য আমরা বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছি। তার নিজ বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও গিয়েছি তাকে গ্রেফতারের জন্য। তাকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা লাগানো আছে তিনি কখন আসেন কখন যায় সেটা জানার জন্য। তবে তাকে আমরা একবারও পাইনি।
এর আগে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠন শওকত আলী তার ফেইসবুকে দেওয়া এক পোষ্টে লিখেন, সেলিম ওসমান অফিস করে, ব্যবসা চালায়। প্রশাসন জানে কিন্তু ব্যবস্থা নেয়না। কারণ বিএনপির এমপি প্রার্থী শেল্টার দেয়। এইগুলো নারায়ণগঞ্জের ওপেন সিক্রেট। এদিকে সেই বিএনপির এমপি প্রার্থীর প্রক্সি হিসেবে আরেক দল কাজ করতাছে। পুরো দল মিলে তার প্রচারনার আইডিয়া সাজায় দেয়। এর সাথে আছে কিছু সাংবাদিক। নারায়ণগঞ্জের কোর্ট পাড়ায় বিএনপির বড় উকিলেরা জামির করায় লীগের লোকজনরে। রুমিন ফারহানার মতো লোকও আসছিলো বৈষম্যবিরোধী মামলায় লীগের একজনকে জামিন করাইতে। লীগের সন্ত্রাসীরা এখন প্রকাম্যে ঘুরাঘুরি করে। জানি এগুলো লিখলে আমার বিরুদ্ধে শুরু হবে অনলাইন, অফলাইন আক্রমণ। তবুও লিখলাম, চুপ করে আর কত।
এনসিপি নেতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তারেক মেহেদী বলেন, আমরা তাকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা লাগিয়েছি। ওই বক্তব্যের পরও আমরা অভিযানে গিয়েছি তবে সেই বক্তব্যের সত্যতা আমরা খুঁজে পাইনি। তবে তিনি আসলে তাকে ধরে ফেলবো।
এর আগে সেলিম ওসমানকে ধরতে একাধিকবার আলটিমেটাম দেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তিনি বলেন, যারা নারায়ণগঞ্জে অরাজাকতা সৃষ্টি করার জন্য মশাল মিছিল করে তাদের অর্থদাতা সেলিম ওসমান ও তার সাথে জড়িত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই অর্থদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
এসপি ও ডিসির কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা ফ্যাসিস্টদের অর্থদাতা তারা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। গার্মেন্টেসে এসে অফিস করছে এবং মুক্তিযোদ্ধা নামধারী কিছু লোক সেলিম ওসমানের সঙ্গে আঁতাত করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শহরে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য অর্থ যোগান ও বিভিন্ন রকম উস্কানি দিচ্ছে।



































আপনার মতামত লিখুন :