News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

আশা ভঙ্গ হতে পারে কালাম ও মাকসুদের


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম আশা ভঙ্গ হতে পারে কালাম ও মাকসুদের

নির্বাচন কমিশনের আসন পুনর্বিন্যাস প্রস্তাবে আশা ভঙ্গ হয়ে কপাল পুড়তে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও একই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে যাওয়া বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন এর।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আওতাধীন নির্বাচনী এলাকা ছিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড এবং ৭টি ইউনিয়ন এলাকা। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন সিটি কর্পোরশনের ৮টি ওয়ার্ড এবং বন্দর থানাধীন সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড আওতাভুক্ত ছিল। এছাড়াও বন্দর উপজেলা এলাকা এবং নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়ন এই আসনের আওতাধীন ছিল।

৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের এ তথ্য নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটি সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হবে। এতে করে ৫ আসন এলাকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১০টি ওয়ার্ড। আর বাদ দেওয়া হয়েছে বন্দর উপজেলার ৫টি এবং নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়নকে।

ইউনিয়ন গুলো হলো, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন আলীরটেক ও গোগনগর। অন্যদিকে বন্দর থানাধীন এলাকায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন হলো কলাগাছিয়া, বন্দর, মুছাপুর, ধামগড় ও মদনপুর। এই ৫টি ইউনিয়ন নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী সোনারগাঁও আসনের সাথে যুক্ত হবে। অর্থাৎ বন্দর উপজেলা এখন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের অংশ হয়ে যাবে।

এদিকে বিএনপির থেকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে একজন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। যিনি এই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং বন্দর এলাকাকে তার ভোট ব্যাংক হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকাতেও সাবেক এমপি আবুল কালামের জনপ্রিয়তা এবং ভোট রয়েছে। এক্ষেত্রে এই আসনে নতুন করে সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় বেকায়দায় পড়তে হতে পারে তাকে।

অন্যদিকে বন্দরে উপজেলা নির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে ছিলেন মাকসুদ হোসেন। ৫ আগস্টের পর সরকারি প্রজ্ঞাপনে সারাদেশের উপজেলার চেয়ারম্যানদের প্রতিনিধিত্ব বাতিল করলে মাকসুদ হোসেনের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ চলে যায়। তবে তিনি দমে না গিয়ে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামেন। সেই অনুযায়ী তিনি বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছেন। পূর্বে দীর্ঘ সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকার কারণে এবং পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার সুবাধে অনেকেই ধারণা করেছিলেন সংসদ নির্বাচনে মাকসুদ হোসেন ভোটের মাঠে ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দিবে।

কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নতুন প্রস্তাবনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে যাওয়া মাকসুদ হোসেনের সেই সম্ভাবনাও ফিকে হয়ে গেছে। কারণ তিনি নির্বাচনে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে এখন তার নির্বাচনী এলাকা হয়ে যাবে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন। যেখানে আগে থেকেই সোনারগাঁয়ের সোনার ছেলে খ্যাত আজহারুল ইসলাম মান্নান শক্ত ভাবে মাঠে রয়েছেন।

Islam's Group