News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

তিনজনের সামনে সুসময়


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম তিনজনের সামনে সুসময়

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহবায়ক সাবেক ছাত্র নেতা মাসুকুল ইসলাম রাজীব ও জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির সামনে অপেক্ষা করছে ‘সুসময়’। তাঁদের কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট দলের হাইকমান্ড থেকে শুরু করে নীতি নির্ধারণী ফোরাম। খোদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও সন্তোষ। ফলে এ তিন নেতা পথ বিচ্যুতি না ঘটলে আগামীতে নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধি উভয় পদে দেখা যেতে পারে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারেক রহমান। ২৬ জুলাই রাতে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত ওই সভাতে উঠে এসেছে আসছে নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে বিশ্লেষণ, বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। সেখানে মামুন মাহমুদ ও রাজীব উপস্থিত ছিলেন। তাদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ-৪ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে উঠে এসেছিল ২০০৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে লড়াই করা জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি শাহ আলমকে নিয়ে। কিন্তু তারেক রহমান নিজেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শাহ আলমের পদত্যাগের বিষয়টি। তিনি বলেন, ‘শাহআলম সাহেব তো দলের পদ ছেড়ে দিয়েছেন। তাকে নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নাই।’

এ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াসউদ্দিনের নাম বলা হলেও তারেক রহমান বিষয়টি এড়িয়ে যান।

দলের একাধিক সূত্র জানান, সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসন এলাকায় বেশ আলোচনায় রয়েছেন মামুন মাহমুদ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী এলাকায় বেশ সরব ররেছেন তিনি। প্রতিনিয়তই তিনি নির্বাচনী প্রচারণামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে জনসাধারণের মাঝে হাজির হচ্ছেন। নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। সেই সাথে এখন পর্যন্ত মামুন মাহমুদ নিজেকে বিতর্কমুক্ত রেখে দলীয় মনোয়নের দৌড়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট আসন এলাকায় মনোনয়নের দৌড়ে থাকা অনেকেই বিতর্কিতমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে গেলেও মামুন মাহমুদ এখনও নিজের গাঁয়ে কোনো বিতর্কের ছোঁয়া লাগাতে দেননি। সেই সাথে তার অনুসারী পরিচয় নেতাকর্মীদেরও অনেকেই বিতর্কমুক্ত রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অনেকবার তাকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কারাভোগ করতে হয়েছে। পরিবারের সদস্যদেরও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। অনেক সময়ে পরিবারের সদস্যদের হেনেস্তার শিকার হতে হয়েছে।

অপরদিকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হয়েই এবার বাজিমাত দেখিয়ে চলেছেন মাসুকুল ইসলাম রাজীব। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকাতে তিনি ছুটে চলেছেন। দলকে চাঙ্গা রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিকভাবেও তিনি বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে একের পর এক মামলা ও দীর্ঘ সময় ধরে দফায় দফায় কারাভোগ করেছেন। পরিবারের উপর এসেছিলও নির্যাতনের খড়গ। রিমান্ডে নিয়ে মারধর করেও বিএনপি থেকে বিচ্যুতি ঘটাতে পারেনি ছাত্রদল থেকে উঠে আসা এ নেতার। দিন দিন রাজীবের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। বক্তব্যের বাচনভঙ্গি ও অনর্গল স্পষ্টভাষার বক্তব্যও নজর কাড়ে সকলের।

শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় এসেছিল মশিউর রহমান রনি। বিনিময়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ক্রসফায়ারের চেষ্টা চালানো হয়। অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে টানা রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। একের পর এক মামলার কারণে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে টানা ১৫ দিনও বাড়িতে থাকতে পারেনি ছাত্রদল থেকে উঠে আসা রনি। রাজপথকে আলিঙ্গন করে আওয়ামী লীগ বিরোধী সময়ে নারায়ণগঞ্জকে যেমন চাঙ্গা রাখতেন তেমনি কাঁপাতেন রাজধানীও। জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা চোখে পড়ার মত। ধরে রেখেছেন বিশাল এক কর্মীবাহিনী।

Islam's Group