News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

জাকির খানের ডেরায় আজমেরি প্রধান পাগলা হামিদ


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম জাকির খানের ডেরায় আজমেরি প্রধান পাগলা হামিদ

আওয়ামীলীগ সরকার পতনের এক বছর পূর্তিতে বিএনপি নেতা সমালোচিত জাকির খানের ডেরায় যোগ দিয়েছেন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আজমেরি ওসমানের অন্যতম প্রধান সহযোগি ও ছাত্র-জনতা হত্যা মামলা আসামী সন্ত্রাসী পাগলা হামিদ। ২৯ জুলাই মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাগলা হামিদের কাধেঁ জাকির খানের আশীর্বাদ ছবি ভাইরাল হয়েছে। জাকির খান ও পাগলা হামিদের এমন ছবি প্রকাশ্যে ইতোমধ্যে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে নেটিজনেরা। একই সাথে জাকির খানের ডেরায় আজমেরি ওসমানের ক্যাডারদের অবস্থান পরিস্কার হয়েছে বলে মন্তব্যে করেছে রাজনীতি দলের নেতারা।

আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে বিএনপিতে ফেরার বিভিন্ন কৌশলে ছিলেন পাগলা হামিদ। ওই সময়ে আজমেরি ওসমান বাহিনীর অন্যতম প্রধান হওয়ার কোন দলই তাকে টেনে নেয়। এর কয়েক মাস পরই গত বছর ১৫ অক্টোবর ফতুল্লা থানাধীন চাদনী হাউজিং এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামী সন্ত্রাসী পাগলা হামিদকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। ওই সময় পাগলা হামিদের গ্রেফতারের খবরে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে ফতুল্লার শাসনগাঁয়ের চাঁদনী হাউজিং এলাকাবাসী। তারা বলছে, কুখ্যাত এই অপরাধীর অত্যাচারে এত দিন ভয়ে দিন কাটাতে হত। ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন এলাকাবাসী।

দীর্ঘ সময়ে কারাবান্দি শেষে জামিনে মুক্ত হয়ে দেশের বাহিরে ছিলেন পাগলা হামিদ। হঠাৎ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের সাথে পাগলা হামিদের ছবি ভাইরাল হওয়ায় পূনরায় আতংকে রয়েছে ফতুল্লাবাসী।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এক সময় গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত থাকলেও আজমেরী ওসমানের অন্যতম সহযোগী এই আব্দুল হামিদ ওরফে পাগলা হামিদ নানা অপকর্ম করে শতকোটি টাকার মালিক বনে যায় আওয়ামীলীগ সরকার আমলে। আজমেরী ওসমানের সকল অবৈধ অস্ত্র তার কাছে সুরক্ষিত থাকতো বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলো ফতুল্লার শাসনগাঁয়ের চাঁদনী হাউজিংয়ের বাসিন্দাসহ পুরো ফতুল্লাবাসী। পট পরিবর্তনের পর আজমেরী ওসমানের প্রধান সহযোগী হিসেবে পরিচিত বহু অপকর্মের হোতা হামিদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করে স্থানীয়রা। জুয়ার আসর পরিচালনা, মাদক ব্যবসা, জমি দখল থেকে নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

হামিদ তার অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করতে প্রায়ই অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করতেন। বিশেষ করে জমি দখল কিংবা বিচার শালিসে অস্ত্র দিয়ে হুমকি দিতেন। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর আজমেরী ওসমান প্রথম আশ্রয় নেন পাগলা হামিদের বাসায়। এছাড়াও ৫ আগস্ট সকালে পাগলা হামিদের নেতৃত্বে চাষাড়া চত্বরে ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষন করা হয়। তৎকালীন এমপি সারাহ বেগম কবরী এমপি থাকার সময় পাগরা হামিদের বাড়ি থেকে ডাকাতির তুলা উদ্ধার করা হয়। তখন তুলা ডাকাতির মামলায় তাকে আসামি করা হয়। শাসন গাঁও (বর্তমানে পার্ক) এলাকায় মেলা, জুয়া ও অশ্লীল নাচের আসর বসাতো নিয়মিত। ওই সময়ে কবরীর ক্যাডার হিসেবে এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করতো। তার অত্যাচারে চাঁদনী হাউজিং এলাকায় একজন গার্মেন্টস মালিক তার প্রতিষ্ঠান সরিয়ে আনতে বাধ্য হয়।

এরপর শামীম ওসমান এমপি হওয়ার পর ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের এক  শীর্ষ নেতাকে নারী সাপ্লাই দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে পাগলা হামিদ। পরে ওই নেতার শেল্টারে শুরু নতুন করে পাগলা হামিদের অপকর্মের পথচলা।  সেখান থেকে আজমেরী ওসমানের বাহিনীতে যোগ দেয়।

Islam's Group