বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা অন্যতম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী জালালউদ্দিন আহমেদের ছেলে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। ১৯৯১ সাল থেকে টানা ছয় বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়ে তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। বন্দরের সন্তান হিসেবে আবুল কালাম শহর-বন্দরের সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় রয়েছেন। ক্লিন ইমেজের এই নেতা ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন একই সাথে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রয়েছেন। আওয়ামী লীগ আমলে আবুল কালাম ও তার ছেলে আবুল কাউসার আশা একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন।
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদের আদর্শে ছোট বেলা থেকে আবুল কালাম ও তার উত্তরসূরিরা দলের তৃনমূল পর্যায়ে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। তিন প্রজন্ম মধ্যে জালাল হাজী, আবুল কালাম ও আবুল কাউসার আশা রয়েছেন। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে অংশ নেননি আবুল কালাম। বয়স্ক হলেও মহানগর বিএনপি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের এক কাতারে রেখেছিলেন তিনি।
তার এক মাত্র ছেলে আবুল কাউসার আশা ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু হয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি ও মহানগর বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে যুগ্ম আহবায়ক পদে আসীন হয়েছেন। যোগ্য নেতৃত্ব ও শালিন বক্তব্যে ইতোমধ্যে আবুল কাউসার আশার সব শ্রেণী মানুষের মধ্যে রয়েছেন আস্থাভাজন।
গত বছর ৫আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের মাধ্যমে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছিলেন প্রত্যাশিতরা। চলতি বছর জুড়ে আবুল কালাম শহর-বন্দরে সক্রিয়তা দলের তৃণমূল ও সাধারণ জনগনের কাছে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু নতুন যোগদান করেই গত ৩রা নভেম্বর বিএনপি মনোনয়ন পেয়ে আলোচনায় আসেন শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ। ওই সময়ে সাবেক এমপি আবুল কালামের মনোনয়ন দেয়া নিয়ে তৃনমূল বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে তুমুল আলোচনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু আবারো ২০ ডিসেম্বর সাখাওয়াত হোসেন খানকে দলের মনোনীত করার সবুজ সংকেতে নিশ্চুপ হয়ে পড়েছে আবুল কালাম সমর্থকদের। দুই দফায় সাবেক তিনবারের এই এমপিকে মূল্যায়িত না করায় বিএনপি তৃনমূল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ক্লিন ইমেজের আবুল কালামকে নিয়ে দলের মধ্যে বিভাজনের কারণে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটি বিএনপি হাতছানি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটির কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে যাকেই ধানের শীষ দিবেন তাকেই আমরা সমর্থন নিয়ে মাঠে নামবো। কিন্তু দেড় মাসের ব্যবধানে দুইজন সবুজ সংকেত পাওয়া প্রার্থী ইতোমধ্যে অদল বদলে গুঞ্জন উঠেছে। যার কারণে বিএনপি নেতা-কর্মীরা একেক এক প্রার্থী সমর্থন দিয়েছে মাঠ সরগরম করলেও বিভাজনে লক্ষ্য দেখা গেছে। সাবেক তিন বারের এমপি আবুল কালামকে হেভিওয়েট প্রার্থী ঘোষনা করা হলেও বিএনপি মনোনীত না পাওয়া সন্দেহজনক দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের কারসাজিতে বার বার আবুল কালামকে বাদ দেয়া হচ্ছে দলের মনোনয়নে। নব্য যোগদানকারী ও নাসিকের পরাজিত প্রার্থী নিয়ে শহর-বন্দর আসনে এমপি নির্বাচিত করা যাবে না। সাধারণ ভোটাররা এখন ক্লিন ইমেজের এমপি প্রার্থী চান। তাই বির্তর্কিত নেতা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটি উদ্ধার করা সম্ভব নয়।


































আপনার মতামত লিখুন :