নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী দেয়নি। দুই দফা প্রার্থী ঘোষণার তালিকায় ফতুল্লা এই আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। এর সুযোগে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী এবং ২০০৮ ও ২০১৮ সালের বিএনপি মনোনীত শাহ আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন ক্রয় করেছেন। তারা দুইজনই বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশি থাকলেও জোটের প্রার্থী ফতুল্লা আসনে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সূত্রে। এই আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের জেলা সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী জোটের প্রার্থী হওয়ার এগিয়ে রয়েছেন।
ইতোমধ্যে গত তিন দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে ৫ জন মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করেছে জেলা নির্বাচন অফিস। মনোনয়নপত্র গ্রহণকারীরা হলেন স্বতন্ত্র থেকে মমিনুল হক, জহিরুল ইসলাম, বিএনপি থেকে সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, বিএনপি নেতা শাহ আলম, খেলাফত মসলিশ থেকে ইলিয়াস আহমেদ। এর সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার তাহসিন ইমতিনান বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ।
এদিকে ফতুল্লা বিএনপির দুই প্রার্থী শাহ আলম ও মোহাম্মদ আলী দুজনেই দাবি করেছেন দল থেকে তাদের মনোনয়ন দিবেন। দলের হাইকমান্ডের ওপর তারা দুজনই আশাবাদী। ১৯৯৬ সালের এক তরফা নির্বাচনে মোহাম্মদ আলী নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাহ আলম অল্প ভোটে ব্যবধানে পরাজিত হন। তিনি ২০১৮ সালের দলের মনোনীত হয়েও জোটের প্রার্থীর কারণে প্রত্যাহার করতে হয়।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এলাকা জুড়ে এই আসনটি নির্বাচনী এলাকা। ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সরগরম করেছেন মোহাম্মদ আলী। অন্যদিকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে ফতুল্লা নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগে নিজের জাগান দিয়েছেন শিল্পপতি শাহ আলম। জোটের প্রার্থী বিরুদ্ধে মোহাম্মদ আলী ও শাহ আলম কে এগিয়ে থাকবেন এই নিয়ে রয়েছে একাধিক বিশ্লেষণ।
ফতুল্লা থানা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি জোটের প্রার্থীকে অবশ্যই সমর্থন দেয়া হবে। ভোট দেয়ার মালিক সাধারণ ভোটাররা। তারপরও ধানের শীষে প্রার্থীকে জয়ী করে তারেক রহমানকে উপহার দিতে চাই। নির্বাচনে সাবেক এমপি ও দুই দলের মনোনীত প্রার্থী স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রস্তুতি নিয়েছেন। যার ফলে বিএনপি একাধিক বিভাজনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃনমূল বিএনপি নেতা-কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে আরও জানা গেছে, মোহাম্মদ আলী ও শিল্পপতি শাহ আলম মধ্যে কেউ একজন নির্বাচন করতে পারেন। তাদের সমঝোতা মাধ্যমে বিএনপি সিদ্ধান্ত বৃদ্ধাঙ্গুল দেখা পারে জনগণ। জোটের প্রার্থী যাকে দেয়া হবে তিনি জনগণের কাছে বিএনপি যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। সিনিয়র নেতৃত্বে হিসেবে মোহাম্মদ আলী ফতুল্লা আসনে এগিয়ে থাকলেও শিল্পপতি শাহ আলম প্রবীন নবীনদের মাঝে জনপ্রিয়তা রয়েছে সবচেয়ে বেশি। ইতোমধ্যে ফতুল্লা থানা বিএনপি একাংশ নেতারা শাহ আলমকে নিয়ে মাঠ চষে বেড়িয়েছেন।


































আপনার মতামত লিখুন :