News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রকাশ্যে ঘুরছে অস্ত্রধারী সেই রাসেল


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম প্রকাশ্যে ঘুরছে অস্ত্রধারী সেই রাসেল

নগরীর বাস টার্মিনাল এলাকায় প্রকাশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি করেছিলেন রাসেল। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করা বন্ধন পরিবহনের দখল নিয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা নগরীর দেওভোগ এলাকার জাকির খান ও র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত সাবেক যুবদল নেতা মমিনউল্লাহ ডেভিডের ভাগিনা চাষাঢ়া এলাকার সাখাওয়াত ইসলাম রানার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন বাস টার্মিনাল সংলগ্ন রিভারভিউ শপিং কমপ্লেক্সের সামনে জাকির খানের অনুসারীদের সঙ্গে পিস্তল উচিয়ে একের পর এক গুলি করতে দেখা যায় রাসেলকে। এই ঘটনার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও আইনের আওতায় আনা যাচ্ছেনা রাসেলকে।

জানা গেছে, ওই ঘটনার পর রাসেলর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে বর্তমানে প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে দেখা গেছে রাসেলকে। সম্প্রতি কারাগার থেকে জাকির খান মুক্ত হওয়ার রাসেল দেওভোগে অবস্থিত জাকির খানের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাকির খানের অনুসারী দেওভোগের লিচুবাগ এলাকার এক সময়ের মাদক সম্ম্রাট হালিম ওরফে ডিব্বা হালিম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকেই বন্ধন পরিবহনের দখল নিয়ে জাকির খান ও রানা গ্রুপের মধ্যে টানটান উত্তেজনা চলছিলো। দুপুরের দিকে বন্ধন কাউন্টারের কর্মচারীদের উপর হামলা হয়। পরে ডেবিডের ভাগিনা রানা ভুক্তভোগীদের নিয়ে থানায় যায় এবং সেনাবাহীনির সাহায্য চান। বিকেলে দিকে সেনাবানীনির সদস্যরা থানায় এসে টহল ও তাদের অভিযোগ সম্পর্কে অবগত হয়ে চলে যান। এরপর রানা তার অনুসারীদের নিয়ে বন্ধন বাস কাউন্টারে অবস্থান নেন। ওই সময় রানার অনুসাদের সবার হাতে দেশীয় অস্ত্র  দেখা যায়। একপর্যায়ে বিকেল ৫ টার দিকে জাকির খানের অনুসারীরা লঞ্চ টার্মিনালের সামনে থেকে ধাওয়া দিলে আবারো সদর থানার দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায় রানাসহ তার অনুসারীরা। এ সময় রাসেল জাকির খানের অনুসারীদের সাথে সেখানে হাজির হন এবং রিভারভিউ শপিং কমপ্লেক্স সংলগ্ন বন্ধন বাস কাউন্টারের সামনে এসে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন। এরপর রানা ও তার লোকজন সদর মডেল থানার সামনে থেকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে রাসেল গুলি করতে করতে থানার গেইট পর্যন্ত গিয়ে তাদের ধাওয়া দেন। সংঘর্ষ চলাকালে রাসেলের সাথে আরো বেশ কয়েকটের হাতেও রিভালভার ছিলো। তবে তারা কেউ গুলি করেনি।

জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার খরব মুহূর্তেই সারাদেশে ছড়িয়ে পরে। এতে স্থানীয় প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেন। তবে রাসেলসহ যারা এই সংঘর্ষের সাথে জড়িত ছিলো তাদের কাউকে এখনো ধরতে পারেনি প্রশাসন। হতাশা প্রকাশ করে নগরবাসী বলছে, ভংঙ্কর এই অপরাধীকে শাস্তি না দিলে সামনে আবারো অন্য কেউ একই অপরাধ করে বসবে। আর এমন চর্চা শুরু হলে তখন প্রশাসনকেই চাপ নিতে হবে।

Islam's Group