ফতুল্লায় ১৪ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাবা ও মায়ের ওপর রাগ করে শনিবার মধ্যরাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বাড়ির কেয়ারটেকার।
ঘটনার পরপরই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাকে আরও ৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার রাতে ফতুল্লার তল্লা সবুজবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ধর্ষক বাচ্চু মিয়া (৪৮) পালিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৪ বছরের মাদ্রাসাছাত্রী তার বাবা-মাকে জানিয়েছে- সে মাদ্রাসায় থেকে লেখাপড়া করবে। এ আবদারে বাবা-মা রাজি না হওয়ায় রাগ করে শনিবার রাত দেড়টায় বাসা থেকে বেরিয়ে যায় ওই ছাত্রী। গভীর রাতে অন্য কোথাও যেতে না পেরে বাড়ির কেয়ারটেকার বাচ্চু মিয়ার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। এ সময় বাচ্চু কৌশলে ছাত্রীকে তার রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে ঘর থেকে বের করে দেয়। তখন ওই ছাত্রী তাদের ঘরে গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানায়। এ সময় তার মা প্রথমে তাকে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
মামলা গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :