অনেকেই পরিস্কার করছেন নিজ অবস্থান, বহিষ্কারে সতর্ক বিএনপি

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী গ্রেপ্তার ও দল থেকে বহিষ্কারে সতর্ক বার্তা পেয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির বহু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেই চাউর রয়েছে নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার খবর। এর কোনটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, আবার কোনটি লোকমুখে চাউর হওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

এরই মধ্যে বিএনপি নেতাদের জন্য আতংকের কারন হিসেবে সামনে এসেছে অডিও রেকর্ড। মুঠোফোনে কথোপকথনের অডিও বেরিয়ে আসছে তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারের সুযোগের কারণে। নিজেদের রক্ষা করতে এসব অডিও রেকর্ড এআই বা এডিটেড দাবি করলেও ফরেনসিক রিপোর্টে সহজেই কোন রেকর্ড এআই কিংবা এডিটেড তা বের করা যায়। ফলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে এসব গালগল্প সেভাবে কাজে আসে না।

বহিষ্কৃত রিয়াদ চৌধুরীর পাশাপাশি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়ে আলোচনায় এসেছে বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম হিরণ। ইতোমধ্যে থাকে মহানগর বিএনপি থেকে শোকজ করা হয়েছে। তবে তাকে বাঁচাতে চলছে বিএনপি নেতাদের তোড়জোড়। কারণ হিরনের সাথে বাকিদের সখ্যতা কারওই অজানা নয়। রিয়াদ চৌধুরী দলের কেন্দ্রের নজরে আসার কারণে তাকে বহিষ্কৃত হতে হয়েছে। সেদিক থেকে হিরণের বিষয়টি সেভাবে ভাইরাল হয়নি।

সূত্র বলছে, মুঠোফোনে সিমকার্ডের মাধ্যমে কথোপকথনের রেকর্ড খুবই সহজে ধারণ করা যায়। এমন অবস্থায় রেকর্ড এড়াতে অনেকেই হোয়াটসএপ ও মেসেঞ্জারে কথাবার্তা বলেন। কিন্তু আধুনিক এপস ফিচারে এগুলোও রেকর্ড করা সম্ভব। এবং তা বিপরীত প্রান্তের মানুষের অগোচরেই। এমন অবস্থায় কল রেকর্ড অনেকের জন্যেই মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করে আসা বিতর্কিত নেতারা এখন আছেন দুশ্চিন্তায়। শেষতক পদ পদবী টিকে থাকে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন অনেকেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘রিয়াদ ইস্যুতে বাকিদের বেশ ভালোই টনক নড়েছে। কেউ রয়েছেন আতংকে আর কেউ রয়েছেন নীরব ভুমিকায়। কোন ক্রমেই যেন বিতর্কিত ইস্যু ফাঁস না হয়ে যায় সেজন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। এই সতর্ক অবস্থান যদি বিএনপি ধরে রাখতে পারে তাহলে কমে আসবে দলের নামে ওঠা বিতর্ক। সেই সাথে কমবে নেতাকর্মীদের বেপরোয়া আচরণ ও কর্মকান্ড।’