News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

মাঠে নামার আগেই বিতর্কে শাহ আলম


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম মাঠে নামার আগেই বিতর্কে শাহ আলম

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসন এলাকায় আলোচনায় রয়েছেন মোহাম্মদ শাহ আলম যিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তিনি আবারও নারায়ণগঞ্জ বিএনরি রাজনীতিতে আলোচনায় এসেছেন। সেই সাথে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবেও তিনি বেশ আলোচনায় রয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে তেমন জোড়ালোভাবে নামছিলেন না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনি অনেকটাই নিরব ভূমিকায় ছিলেন। এরই মধ্যে শাহ আলম অনুসারীরা তার পক্ষে একটি প্রোগ্রামের আয়োজন করেন। আর এই পোগ্রামে তার এক অনুসারীর বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ফলে শাহ আলমের নির্বাচনী প্রচারণামূলক কার্যক্রম যেন বিতর্কের মধ্যেই দিয়েই শুরু হতে যাচ্ছে।

জানা যায়, গত ২৩ জুলাই ফতুল্লার ভূইগড় সোনালী সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা। সেই সাথে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান খোকা।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, এবার যদি ফতুল্লাকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করবেন? আপনাদের ছাড়া হবেনা। এই খেলা আর খেলবেন না। জোটের খেলা এখানে চলবেনা। ধানের শীর্ষ ছাড়া এখানে আর কিছু চলবেনা। খবরদার না করে দিলাম। আপনার জোট নিয়ে আপনে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, ফতুল্লার মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরন করেন। আপনার জোটকে আপনে অন্যত্রে নির্বাচন দেন। ফতুল্লার মানুষকে আপনে ধানের শীর্ষ ও প্রিয় নেতা শাহ আলম থেকে বঞ্চিত করবেন না। শাহ আলমের জন্য আমরা নমিনেশন আনবো। আমরা কেন্দ্রীয় অফিসে তারেক রহমানকে ঘেরাও করবো। আমরা মহাসচিবকে ঘেরাও করবো। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ঘেরাও করবো। তারপরও যদি শাহ আলমকে নমিনেশন দেয়া না হয় তাহলে আমরা আত্মহতি দিবো।

কিন্তু তার এই ঘেরাও করা বক্তব্য বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র সমালোচনার সৃস্টি করেছে। যদিও ইতোমধ্য তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন। কিন্তু বক্তব্য প্রত্যাহার করলেও নেতাকর্মীদের মধ্যে থেকে এর রেস কাটছে না। নির্বাচনী মাঠে না থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে না থেকে দলের সুসময়ে দলীয় প্রধানকে নিয়ে হুংকার দেয়া নেতাকর্মীদের মাঝে নেতাবাচক প্রতিক্রিয়াই বড় আকার ধারণ করছে।

সেই সাথে এই বিতর্কিত প্রতিক্রিয়া কতটুকু কাটিয়ে উঠতে পারবেন সেটাই দেখার বিষয়। বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা শাহ আলমকে কতটুকু গ্রহণ করতে পারবেন সেটাই লক্ষ্যণীয় বিষয়। তবে তার অনুসারীদের আশা মোহাম্মদ শাহ এটা বেশ ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন এবং নির্বাচনী মাঠে তিনি চমক দেখাবেন।

এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোহাম্মদ শাহ আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও নাটকীয়ভাবে শেষ মুহূর্তে এসে ২০-দলীয় জোটের উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী মনির হোসেন কাসেমীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিলো।

তার আগে, ২০০৮ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ শাহ আলম আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করে মাত্র ২ হাজার ১০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন।

Islam's Group