আগামী সংসদ নির্বাচন ঘিরে যখন চারদিকে নানা ধরনের আলোচনা তখন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারেক রহমান। ২৬ জুলাই রাতে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত ওই সভাতে উঠে এসেছে আসছে নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে বিশ্লেষণ, বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকান্ড। সেখানে জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। রূপগঞ্জ নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মুস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, আড়াইহাজার নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ ও সোনারগাঁও নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আজহারুল ইসলাম মান্নানের প্রতি ইতিবাচক মনোভাবে তাঁদের ‘পাল্লা ভারী’ উঠে এসেছে। এছাড়া একটি আসনে ব্যাপক রদবদলেরও বিষয়টি আলোচনা হয়।
বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে থাকা, নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়াতে কাজ করা, মামলা ও হামলায় জর্জরিত নেতাদের দিয়েই আগামীতে সংসদ নির্বাচন করানো হবে ইঙ্গিত দেন তারেক রহমান। তিনি জানান তার কাছে বিগত সবগুলো বছরের সকল নেতাদের কর্মকান্ডের ফিরিস্তি রয়েছে। কারা মাঠে ছিল, কারা কাজ করেছে, কারা সুবিধাভোগী, কোন কোন নেতার সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক আছে ইত্যাদি সকল তথ্য আছে। ৫ আগস্টের পরেও কে কি করেছে সেটাও তাঁর জানা। সুতরাং দলের প্রতি যাদের অগাধ ভালোবাসা, বিতর্কহীন কর্মকান্ড তারাই এবার প্রাধান্য পাবেন সংসদ সদস্য প্রার্থীতার ক্ষেত্রে।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আন্দোলনের নেতা আজহারুল ইসলাম মান্নান এর আগে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের জনগণের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান হয়েও তিনি পরিষদে কাজ করতে পারেনি। মান্নান বিএনপির চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে তাকে মেনে নিতে পারেনি স্থানীয় সংসদ। পরে তাকে অপসারণ করা হয়। গত ১৫ বছরে সবগুলো আন্দোলনেই সামনের সারিতে ছিলেন মান্নান। একের পর এক মামলায় কাবু করা হয় তাকে ও তার ছেলে যুবদলের নেতা খায়রুল ইসলাম সজীবকে। সোনারগাঁও বিএনপি'র অঙ্গ সংগঠনগুলোকে একত্র করে এক ছাতার নিচে ধরে রেখেছেন তিনি। বিগত সময় বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম ও গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে মামলা-হামলায় নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন তিনি। নেতাকর্মীদের আইনি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের বাড়ীতো খোঁজখবর নিয়েছেন। বিএনপির কোন দলীয় কর্মসূচী আসলে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে নেমে পড়েন এবং আন্দোলন-সংগ্রাম সফল করেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।
আপনার মতামত লিখুন :