বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হতাহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয়ভাবে ৯ দফা দাবি দিয়েছিল। গত ৩ আগষ্ট শহীদ মিনারে সামনের সারিতে অন্তত ছয়জন সমন্বয়ক উপস্থিত ৯ দফা বদলে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। এতে পুরো নারায়ণগঞ্জ সহ দেশজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ওই সময়ে নারায়ণগঞ্জ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়া নিয়ে রাজনীতিতে পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত সৃষ্টি হয়। দুপুরের পর থেকে ‘১ দফা’ দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থী বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন টানিয়ে আন্দোলনকে আরো জাগিয়ে তোলা হয়। ছাত্র-জনতা পাশাপাশি রাজনীতি দলের নেতা-কর্মীরা ছিলো তাদের সাথে মিশে। এদিকে সন্ধ্যা পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ক্লান্ত অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জ ছিলো শান্ত নিরব।
মুগ্ধ সেই আলোচিত ‘পানি লাগবে’ স্মরণ করে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চাষাঢ়ায় হাজারো পানি বোতল বিতরণ করেন। প্রচন্ড গরমে মধ্যে মুগ্ধ সেই আলোচিত বাক্য ছিলো ছাত্র-জনতা মুখে মুখে। রিক্সা-অটোরিক্সা ও হেটেঁ হেটেঁ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে পানি বিতরণ ছিলো চোখে পড়া মত। শুধু পানি নয় বিস্কুট সহ বিভিন্ন শুকনা খাবার দেয়া হয় চাষাঢ়া ছাত্র-জনতা মধ্যে।
৩ আগষ্ট সাড়ে ১১টা থেকেই নারায়ণগঞ্জের নগরীর দুই নাম্বার গেট থেকে চাষাঢ়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বিজয় স্তম্ভের সামনে বিক্ষোভ করে নারায়ণগঞ্জ তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় নারায়ণগঞ্জ কলেজ ও নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। শিক্ষার্থীরা উই ওয়ান জাস্টিস, শহীদ হওয়া শিক্ষার্থীদের রক্ত বৃথা যেতে দিব নাসহ বিভিন্ন স্লোগানে দেয়। এ সময় চাষাঢ়ার মোড়ে বিজিবির গাড়ির সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সারাদেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও নয় দফা দাবিতে এই কর্মসূচি ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অপরদিকে, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অবস্থানের কারণে নারায়ণগঞ্জে চাষাঢ়া থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে বিজয় স্তম্ভে বোরকা শামীম ব্যানারে আলোচিত হয়ে উঠে শহর। পাশে একটি সাইনবোর্ডে বোরকা শামীম পালাইছে লিখনীতে চাষাঢ়া নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ছাত্র-জনতা।
আপনার মতামত লিখুন :