নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে পার্কিং করা কভার্ডভ্যানে হামলা চালিয়েছে এক দল ছিনতাইকারী। এসময় এলোপাথারী কুপিয়ে কভার্ডভ্যান চালক মোস্তফার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তখন গাড়ির হেলপারের ডাক চিৎকার আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং ধাওয়া করে জুয়েল নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
২ আগস্ট শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকায় অবস্থিত জেলা কারাগারের সামনে এঘটনা ঘটে।
ছিনতাইকারীর হামলায় আহত মোস্তফা মিয়া (৩৫) নোয়াখালি জেলার বশিরহাট থানার কোম্পানীগঞ্জ চরলাই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। আটক ছিনতাইকারী জুয়েল আহমেদ (৩৫) নারায়ণগঞ্জ সদরের বাবুরাইল এলাকার শাহীন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আলী হোসেনের ছেলে।
আহত চালক মোস্তফা মিয়া জানান, চট্রগ্রামে গার্মেন্টের মালামাল নেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ কারাগারের সামনে গাড়ি পার্কিং করে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় রাত সাড়ে ১১টায় একদল ছিনতাইকারী গাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে। একজন ছুরি হাতে গাড়ি থেকে আমাকে টেনে হেচড়ে নিচে নামায়। তখন ভয়ে মানিব্যাগ ভর্তি টাকা ও মোবাইল তাদের দিয়ে দেই। তারপরও তারা আমার পিছনের দিকে পিঠ থেকে কোমর পর্যন্ত এলোপাথারী কোপায়। এসময় আমার গাড়ির হেলপার আব্দুল ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ধাওয়া করে একজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
পথচারীরা জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে কয়েকটি গ্রুপ ছিনতাইয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সাইনবোর্ড থেকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটারের মধ্যে মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকার ও ইজিবাইকে ছিনতাই করে থাকে। প্রতিরাতে ধারালো ছুরি হাতে পথচারীদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। এবিষয়ে মামলা মোকদ্দমা হয়রানী মনে করে থানায় অভিযোগ করেন না। পথচারীদের দাবী লিংক রোডে কয়েকটি চেকপোষ্ট ও পুলিশের টহলের ব্যবস্থা করা হলে ছিনতাইকারীদের উপদ্রপ কমে যেতো।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, একজন ছিনতাইকারী গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে অন্য ছিনতাইকারীর নাম পরিচয় জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :