News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২

নাসিকের ওয়ার্ডগুলোতে নানা দুর্ভোগ


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম নাসিকের ওয়ার্ডগুলোতে নানা দুর্ভোগ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের শহর, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জের তিন অঞ্চলে মোট ২৭ টি ওয়ার্ড। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর এই ২৭ টি ওয়ার্ডের সকল কাউন্সিলরসহ মেয়রের পদও নিয়ে নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে মেয়রের জায়গায় সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ ও কাউন্সিলরদের শূন্যস্থান পূরণের জন্য ওয়ার্ড সচিবদের দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে ওয়ার্ড পর্যায়ে নাগরিকদের নানা অসুবিধা লাঘবে সচিবরা তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেন না। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধি না থাকায় পাড়া মহল্লার সামাজিক অবস্থার অবনতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দুর্ভোগ বাড়ছে। কারণ তাদের (কাউন্সিলর) স্থানে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তারা শক্ত হাতে নিজ নিজ এলাকার বড় সমস্যাগুলো সমাধানে ব্যর্থ হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, কিছু কিছু এলাকায় সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব প্রাপ্তদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৮ নং ওয়ার্ডের শহীদ নগর এলাকা। এই এলাকায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে জাইকার অর্থায়নে একটি খেলার মাঠ নির্মাণ করছে সিটি করপোরেশন। কিন্তু জনপ্রতিনিধি না থাকায় এই প্রকল্পটি শুরুর পর থেকেই একের পর এক বাধা আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়েকদিন আগে প্রকল্পের নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে অভিযোগ করে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে প্রকেল্পর ঠিকাদারের কাছে অনৈতিক সুবিধা চেয়ে না পাওয়ায় কাজ বন্ধ করা হয় বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনপ্রতিনিধি থাকলে এখানে কেউ সমস্যা তৈরি করতে পারতেন না। জানা গেছে, এই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না শ্রমিকলীগ নেতা ও ছাত্র জনতা হত্যার আসামী হয়ে বর্তমানে পলাতক আছেন।

একই অবস্থা নাসিকের ১৭ নং ওয়ার্ডে। এখানে বিশুদ্ধ পানির সংকট, ভাঙা রাস্তাঘাট, মাদকের বিস্তার বাড়ায় পুরো ওয়ার্ডজুঁড়ে সৃষ্টি হয়েছে চরম দুর্ভোগ। তবে এখানকার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবুও ছাত্র জনতা হত্যার আসামী হয়ে পালিয়ে গেছেন।

তথ্য বলছে, আওয়ামীলীগ সমর্থিত নাসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলররা হত্যা মামলার আসামী হয়ে পলাতক আছেন। পাশাপাশি তাদের পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ ওয়ার্ড কাউন্সিলররা আওয়ামীলীগ সমর্থিত না হয়েও, পদ না থাকায় তারাও ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের শহর অঞ্চলে ৭ টি ওয়ার্ড। এরমধ্যে ৩ টি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ সমর্থিত কাউন্সিলর, ১ টি জাসদ ও ৩ টি ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর ছিলেন। সিদ্ধিরগঞ্জে অঞ্চলে ১০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ টিতে আওয়ামীলীগ সমর্থিত কাউন্সিলর ছিলেন এবং বাকি ৯ টি ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর। বন্দরে বন্দরের ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যেও অধিকাংশ ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলররা দায়িত্বে ছিলেন। তবে ২৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র অল্প কয়েকটি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ সমর্থিত কাউন্সিলর থাকার পরও সবাইকে অব্যাহতি দেয়ায় বিষয়টি এখন অনেকে মেনে নিতে পারছেনা। তারা বলছেন, শুধু আওয়ামীলীগ সমর্থিত জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলে নাসিকের প্রায় অধিকাংশ ওয়ার্ডেই এখন জনপ্রতিনিধি থাকতো এবং এটি হলে জনদুর্ভোগও কমতো।

Islam's Group