নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে প্রাথমিকভাবে ঘোষিত আজহারুল ইসলাম মান্নানের মনোনয়ন পরিবর্তন করার জন্য এবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন দলীয় সাত মনোনয়নপ্রত্যাশী। মঙ্গলবার পাঠানো ওই আবেদনে মনোনীত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে তার পরিবর্তে স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য, শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ নেতাদের মধ্য থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার আর্জি জানানো হয়।

চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ গিয়াস উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ওয়ালিউর রহমান আপেল, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়ালিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির ১নং সহ-সভাপতি আল মুজাহিদ মল্লিক।
আবেদনপত্রে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ-৩ একটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আসন, যেখানে ভোটাররা সচেতন ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রত্যাশা করেন। অথচ প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজি, জায়গাজমি দখল, নদীপথে চাঁদাবাজি, বালুর ব্যবসায় অনিয়ম, অনৈতিক অর্থ আদায়, দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল বক্তব্য এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে অশালীন আচরণের মতো অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে এলাকায় দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
নেতারা দাবি করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরবর্তী সময় থেকে ওই এলাকায় বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে মান্নান জড়িত থাকার অভিযোগ স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমেও নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি মেঘনাঘাট সেতুর টোলপ্লাজার টোল জোরপূর্বক লুট করার ঘটনাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদনকারীরা দাবি করেন, আজহারুল ইসলাম মান্নানকে নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করা হলে এ আসনে বিএনপির বিজয়ের সম্ভাবনা নেই। বরং প্রার্থী পরিবর্তন করলে ঐক্যবদ্ধভা বে মাঠে কাজ করে আসনটি দলকে উপহার দেওয়া সম্ভব বলে তারা বিশ্বাস করেন। আমাদের মধ্যে যাকেই মনোনয়ন দেবেন, আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করতে প্রস্তুত। দলীয় বৃহত্তর স্বার্থে আমরা প্রয়োজনে ত্যাগ স্বীকার করতেও রাজি।
আবেদনপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, একই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ড. মোঃ ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া নামের একজন সুনামধন্য শিক্ষাবিদের মনোনয়ন দিয়েছে। ফলে নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং বিএনপির প্রার্থী নিয়ে স্থানীয় জনগণের আস্থা না থাকলে এটি দলের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করবে।








































আপনার মতামত লিখুন :