বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়ার আয়োজন করতে যাচ্ছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর বিকেলে রূপগঞ্জের রূপসীতে নিজ বাড়িতে ওই আয়োজন করা হয়েছে। এতে তৈমূর বড় আয়োজন করতে যাচ্চেন।
তৈমূর বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন আলোচিত সমালোচিত ব্যক্তি। তাঁর অনেক ইতিবাচক কর্মকান্ড চাপা পড়ে যায় তিনি বিএনপি ছেড়ে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর। তবে এবার তিনি সেই তৃণমূল বিএনপিও ছেড়েছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আর সেখানে নেই। কিন্তু কোথায় যাবেন সে প্রশ্ন নিয়েও আছে প্রশ্ন। কেউ কেউ বলছেন তৈমূর আবার বিএনপিতে ফিরতে পারেন। তবে ফেরার জন্য তিনি আগ্রহী হলেও নিজে নত হতে নারাজ।
তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থেকে আহবায়ক ও সভাপতি হয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাও ছিলেন।
২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হলেও ভোটের ৭ ঘণ্টা আগে খালেদা জিয়ার নির্দেশে সরে যান।
২০২২ এর ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হন। কিন্তু৯২ হাজার ৫৬২ ভোট পেয়েও আইভীকে হারাতে পারেনি। নির্বাচনের পর বিএনপি তাকে অব্যাহতি ও বহিস্কার করেন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেন তৈমূর আলম খন্দকার। যে বিএনপি দিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে সমাদৃত তৈমূর তিনিই নিজ হাতে ভাঙার চেষ্টা করেন জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দলটিকে। বিএনপির সাবেক এমপিদের লোভ দেখিয়ে তৃণমূলে ভেড়ানোর জন্য প্রাণান্তর চেষ্টা করেন।
২০২৪ এর ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি থেকে পাটের আশ নিয়ে রূপগঞ্জে এমপি প্রার্থী হন। সেখানে পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ভোট।
এর মধ্যে হাসিনা পতনের পর তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী গ্রেপ্তার হন। কিন্তু ধরাছোয়ার বাইরে ছিলেন তৈমূর।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেন তৈমূর আলম খন্দকার। যে বিএনপি দিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে সমাদৃত তৈমূর তিনিই নিজ হাতে ভাঙার চেষ্টা করেন জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দলটিকে। বিএনপির সাবেক এমপিদের লোভ দেখিয়ে তৃণমূলে ভেড়ানোর জন্য প্রাণান্তর চেষ্টা করেন। যে খালেদা জিয়ার বদৌলতে তৈমূর বার বার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থেকে সভাপতি, মহানগর কমিটির সভাপতি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমনকি আগে বিআরটিসিরি চেয়ারম্যান, ডেপুটি এটর্নি জেনারেলের মত রাষ্ট্রীয় অতি গুরুত্বপূর্ণ পদের চেয়ারে বসেছিলেন সেসব ইতিহাসকে মীরজাফরের মত বিএনপির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার দোসর হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বেঈমানীর ফলাফল যে নির্মম হয় সেটা ২০২৪ এর ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে রূপগঞ্জবাসী প্রমাণ করে দেয়। যে রূপগঞ্জের সাড়ে ৪শ বেকারকে বিআরটিসিতে বিনা টাকায় চাকরিয়ে দিয়ে ওয়ান এলেভেনের পর দুর্নীতি মামলায় কারাভোগ করতে হয়েছিল, যে নাওরাতে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে গ্রামকে আলোচিত করেছিল সেই জনপদের মানুষ কার্যত ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেন একজন বেঈমান তৈমূরকে। নির্বাচন জুড়ে আলোচনায় থাকা এই নেতা শেষতক জামানত হারিয়ে পরাজয় বরণ করেছেন। নির্বাচনী দৌড়ে হয়েছেন তৃতীয়। বিভিন্ন নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে ২০ হাজার ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সেখানে পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ভোট। যা নিয়ে হাস্যরসে মেতে উঠেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা।








































আপনার মতামত লিখুন :