নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়াতে আলোচনায় এসেছেন তিনজন। তারা হলেন মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক এমপি আবুল কালাম ও প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশায় ২২ সেপ্টেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর কমিটিতে যোগ দেন ১১নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি ও মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদ। নব্য যোগদানকারীই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী হচ্ছেন এমন বার্তা দিয়ে ছিলেন বিএনপি একাংশ নেতারা।
মাসুদুজ্জামান মাসুদকে পাত্তা না দিয়ে নিজেদের বলয় করে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠ চষে বেড়ান মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশা, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সাবেক এমপি আবুল কালাম, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল। ৩ নভেম্বর বিএনপি প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাসুদুজ্জামান মাসুদের নাম ঘোষনা করা হয়। এতেই মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্যে হতাশ ও ঐক্যবদ্ধ রাজনীতিতে এক টেবিলে বসে পড়েন। ইতোমধ্যে গত ১৫ নভেম্বর থেকে মাসুদুজ্জামান মাসুদকে পরিবর্তনের দাবিতে চার মনোনয়ন বঞ্চিত রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। অন্যদিকে মনোনয়ন বঞ্চিত মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ইতোমধ্যে মাসুদুজ্জামানকে সমর্থন দিয়ে মাঠে নামেন।
নিরাপত্তাশঙ্কা ও ব্যক্তিগত কারণের কথা উল্লেখ করে মাসুদুজ্জামান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর এ সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী নিয়ে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। দলীয় মনোনয়নের লড়াইয়ে সম্ভাব্য তিন প্রার্থীর নাম নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে আবুল কালাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। বিগত দিনে আমার স্বচ্ছ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে দল এবারও আমাকে মনোনয়ন দেবে।’
মাসুদুজ্জামান সরে যাওয়ায় দলে প্রার্থিতা নিয়ে কোনো সংকট তৈরি হবে না বলে উল্লেখ করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন। দলে তিনিসহ আরও ভালো প্রার্থী আছেন। তিনি আশা করেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূল থেকে এখানে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী করবে।
এ ছাড়া দলের ত্যাগী নেতা হিসেবে মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করেন বিএনপি নেতা আবু জাফর বাবুল।

































আপনার মতামত লিখুন :