নিজেদের ক্ষেতের থেকে সবজি এনে সরাসরি হাটে বিক্রি করেন কৃষকরা। তবে সেই সবজি হাত বদলে শহরে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুন দরে। রোদ ঝড় বৃষ্টিতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলালেও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেনা কৃষকরা।
জানা গেছে, ধলেশ্বরী নদীবেষ্টিত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর কৃষকের হাটে গত দেড় দশক ধরে সবজি বিক্রি করছেন কৃষকরা। প্রতিদিনই ভোর থেকে হাটে সরাসরি নিজেদের ক্ষেতের সবজি বিক্রি করছেন। তাদের সবজি টাটকা তরতাজা এবং দামে কম থাকায় পাইকাররাও সাচ্ছন্দে এখান থেকে সবজি ক্রয় করে নিয়ে যান।
তবে কৃষকের হাটের এসব সবজি হাত বদলে শহরে দ্বিগুন দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকের হাটে বিভিন্ন ধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে। অথচ এসব শাকই শহরে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। একইভাবে বেগুন, ধুন্দল, উস্তা, লাউ, কুৃমড়া, ফুলকপিও শহরে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুন দরে।
কৃষকরা বলছেন, তারা কষ্ট করে ফসল ফলালেও ন্যায্য দাম পাননা। তাদের হাটের শাকসবজি শহরে দ্বিগুন বা তার বেশী দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে সারের দাম বেশী। প্রতি বস্তায় ৫শ থেকে ৭শ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সারের দাম। শ্রমিকের মজুরী বেশী। এসব কারণে কৃষকরা লোকসানে রয়েছেন। তবে পাইকাররা বলছেন পরিবহন খরচসহ অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে তারা ৫ থেকে ৭ টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন।
তবে হাট ইজারাদার বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে এখানে হাট বসছে। আগে বিকেলে বসতো। গত দেড় দশক ধরে ভোর থেকে বসে। সকালে টাটকা সবজি পাইকাররা নিয়ে দিনের বেলায় বিক্রি করতে পারে। প্রতিদিনই শতাধিক কৃষক হাটে। নারায়ণগঞ্জ থেকেও অনেক পাইকার আসে। তবে এখন সবজির দাম অনেক কম।









































আপনার মতামত লিখুন :