সবজির ঋতু শীতকাল । নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে সবজির সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। ফলে কাঁচাবাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সবজির দাম।
শহরের দিগুবাবুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, শিম বিক্রি হয়েছে মানভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকায়, করলা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। মাঝারি আকারের একটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় আকারে বড় হলে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কেজিতে ১০ টাকা কমে মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এছাড়া বরবটি ও কাঁকরোলের কেজি ৫০ টাকা। ঢ্যাঁড়শ ও পটোলের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পুরোনো আলু ২৫ টাকা বিক্রি হলেও নতুন আলুর দাম অনেক কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া শাকসবজির দামও অর্ধেকে নেমে এসেছে।এদিকে কাঁচামরিচের দাম আরো কমে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। দুদিন আগে ৪০ টাকায় নেমে এসেছিল মসলা জাতীয় এ পণ্যটি।
বন্দর থেকে দিগুবাবুর বাজারে আসা শফিক নামের এক ক্রেতা বলেন, সবজির দাম কিছুটা কমলেও অন্য বছরের তুলনায় এখনো দাম কিছুটা বেশি। সবজির ঋতুতে যদি একটা বড় সাইজের ফুল কপি ক্রয় করতে ৮০ টাকা গোনা লাগে তাহলে তো আর হলো না। তবুও গত মাসের তুলনায় সবজির দাম অল্প কিছু কমেছে। এই ধরেন সবজি প্রতি ১০ টাকা করে। কিন্তু দাম আরো কমা উচিত। পেঁয়াজের দাম দুইদিন আগেও ১২০ টাকা ছিলো। আজকে এসে দেখি খাড়াখাড়ি ১৩০ টাকা হয়ে গেছে।
সবজির দাম কমলেও, পেঁয়াজ এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা থেকে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা এবং দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে নতুন পেঁয়াজের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
বাজার ঘুরে জানা যায়, কয়দিন আগে কমতির দিকে থাকলেও গত দুদিনে সরবরাহ কমে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছে।
দিগু বাবুর বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন, ৪০-৪২ টাকা আমদানি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৪ টাকায়। আগের দুদিনের তুলনায় আমদানি পেঁয়াজের দাম কেজিতে চার টাকার মতো বেড়েছে। এ কারণের দেশি পেঁয়াজের দামও কমছে না। তবে আশার দিক হচ্ছে, বিপুল পরিমাণ দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসছে। এতে দেশি নতুন পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী। আগামী কয়েকদিনে পেঁয়াজের দাম কমতে পারে। আমরা আশাবাদী ক্রেতাদের মনে পেঁয়াজ নিয়ে অভিযোগ থাকবে না।
মাছ-মাংসের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। ডিম ও মুরগির বাজারেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।








































আপনার মতামত লিখুন :