শ্রমিকলীগ নেতাকে থেকে তারেক জিয়া পরিষদ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সভাপতি হওয়া আহসান হাবিব পলাশকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
৯ ডিসেম্বর শহিদনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
গত ৯ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তারের বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. রিপন মৃধা বাদী হয়ে ৫২জনের নাম সহ অজ্ঞাত আরও ২০০জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় ১৬নং মামলা আসামী ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার আস্থাভাজন তারেক জিয়া পরিষদ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সভাপতি ও শ্রমিকলীগ নেতা আহসান হাবিব পলাশ।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১৮নং ওয়ার্ডের শহীদনগর ২নং গলি’র আব্দুস কুদ্দুছ মাদবরের ছেলে আহসান হাবিব পলাশ ছিলেন ওসমান পরিবারের আস্থাভাজন মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মুন্নার অন্যতম সহচর। এখন পলাশ বিএনপি নেতা জাকির খানের ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জ সদর থানা জাসাসের সভাপতি জিকো খানের আস্থাভাজন। ইতোমধ্যে তারেক জিয়া পরিষদ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সভাপতি ব্যানারে ফুলের তোড়া দিয়ে আলোচনা এসেছে সুবিধাভোগী পলাশ। আওয়ামীলীগ ক্ষমতার পাল্টা বদলে এখন পলাশ আলোচিত জাকির খানের নাম ভেঙ্গে এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠে।
শহীদনগর মেম্বার গলিতে আতংক ছিলো পলাশ। ওসমান পরিবার দোসরদের সখ্যতায় ডিস-মাদক ব্যবসা, জমি দখল বিক্রি ও মাদক বিক্রেতা বিটু সাথে বেপরোয়া ছিলো পলাশ। গত বছর ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর নতুন সাজে জেগে উঠে শ্রমিকলীগের পলাশ। বিএনপি নেতা জাকির খানের আশ্রয় নিতে তার ছোট ভাই সদর থানা জাসাসের সভাপতি জিকো খানের সাথে সখ্যতা বেড়ে উঠেছে শ্রমিকলীগের এই নেতা। ভোল্ট পাল্টিয়ে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ন্ত্রণে পলাশ এখন জাকির খানের বিএনপির নেতা বনে গেছেন।
গত বছর আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর বিএনপি নেতা জাকির খানের মুক্তির দাবিতে বিএনপিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা শুরু করেন আহসান হাবিব পলাশ। কারাবন্দি জাকির খানের মুক্তি পর ছবি দিয়ে শহরে সর্বত্র পোষ্টার সাটান তিনি। সাটানো পরই আইভী গ্রেপ্তারে পুলিশের উপর হামলাকারী এমন প্রচারে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকেই বলছেন, পলাশের মত সুবিধাভোগী অপরাধী কিভাবে বিএনপির অঙ্গসংগঠন তারেক জিয়া পরিষদ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সভাপতি হয়। ওসমান পরিবারের দোসর হয়ে কিভাবে পলাশ আলোচিত জাকির খানের মত জনপ্রিয় নেতার ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার ফেস্টুন সাটিয়েছে। এতে বিএনপি ও জাকির খানের আগামী রাজনীতি সক্রিয়তা হুমকি মুখে পড়বে।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমানের পক্ষে পলাশের নেতৃত্বে নিবাচনী মিছিল করা হয়। নাসিক নির্বাচনে ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নাকে নিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে দেখা গেছে পলাশকে। মাদক ব্যবসায়ী বিটুকে নিয়ে পলাশের আনাগোনা ছিলো বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকার আমলে।








































আপনার মতামত লিখুন :