নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মাকসুদুল হাসান জনি (২৯) নামে এক যুবককে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সহযোগীরা। শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে নাসিক সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ডের নিমাইকাশারী এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঐ এলাকা নিরাপত্তা প্রহরী (নাইটগার্ড) আলমগীর হোসেন (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহত জনিসহ কয়েকজনের একটি দল নিমাইকাশারী ও আশেপাশে এলাকায় চুরি ছিনতাই করে আসছিল। গত ১৪ জুলাই রাত দুই টার দিকে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ৩/৫ জন মিলে জনিকে গলামটিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তাকওয়া টাওয়ার নামক নির্মাণাধীন দুতলা ভবনের লিফটের গর্তের ভেতর জমা পানিতে দেয়। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেন (৫০) নামে একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঐ এলাকার চুরি টাকার ভাগাভাগির একটি অংশ নিরাপত্তা প্রহরী আলমগীর পেতো বলে জানিয়েছে পুলিশ । পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে ময়নাতদন্তের জন্য। নিহত জনি একই এলাকার শুক্কুর আলীর ছেলে। গ্রেফতারকৃত
নিরাপত্তা প্রহরী আলমগীর হোসেনও একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।
নিহত মাকসুদুল হাসান জনি'র বাবা শুক্কুর আলী জানান, গত সোমবার রাত থেকে জনি নিখোঁজ ছিলো। আজ এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে গিয়ে দেখি আমার ছেলের লাশ পড়ে আছে। আমি এ হত্যা কান্ডের ন্যায় বিচার চাই।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, ১৪ জুলাই রাতে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরধরে জনিকে গলামটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে একটি নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের গর্তের ভেতর জমা পানিতে দেয়। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেন নামে একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । গ্রেফতারকৃত নিরাপত্তা প্রহরী আলমগীর চুরি টাকার ভাগাভাগি একটি অংশ সে পেত। এবং সে চুরির কাজে তাদেরকে সহযোগিতা করতো বলে ওসি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :