News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

মামা ভাগিনায় জিম্মি ছিলো জিমখানা


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম মামা ভাগিনায় জিম্মি ছিলো জিমখানা

নারায়ণগঞ্জ নগরীর জিমখানা জল্লারপাড় লেকে যারা নিয়মিত ঘুরতে যান তাদের এবং সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে এক আতঙ্কের নাম তানভীর। মাত্র ২০ বছর বয়সী এই যুবক হত্যাসহ অসংখ্য মামলার আসামী। তানভীরের মামা শাহ আলমের নামেও রয়েছে হত্যা, চাঁদাবাজি ও মাদকের একাধিক মামলা। তবে এসব মাথায় নিয়েই দীর্ঘদিন শহরের মন্ডলপাড়া, নিতাইগঞ্জ, জিমখানা কলোনী ও জল্লারপাড় এলাকায় একের পর এক অপরাধ সংঘঠিত করে আসছিলো তারা। সবশেষ তাদের নেতৃত্বে, সরকারি কর্মচারী, শিক্ষার্থী এমনকি পুলিশের উপরও বর্বরোচিত হামলা হয়। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির বলে শাহ আলম ও তানভীর এতোসব অপরাধের পরও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছিলেন। তবে সম্প্রতি ওই এলাকায় মামা ভাগিনার যৌথ অত্যাচারের অবসান ঘটেছে। কারণ অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে জিমখানা এলাকা থেকে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সবশেষ আটক করা হয় শাহ আলমকে। তাকে দুই বছর আগে মন্ডলপাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে নাসির নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে তার ভাগিনা তানভীরকে একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিমখানা কলোনীর এক নারী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, কিছুদিন আগে কলোনীর এক মাদক ব্যবসায়ীর পায়ের রগ কাটসে তারা। কারণ তারা চায় এখানে শুধু তারাই ব্যবসা করবে। মাদক তো বেঁচেই। পার্কে যেই নারী পুরুষ ঘুরতে আসে তাদেরও ধরে ধরে পিটায় সময়তে। মানে মন চাইলেই মানুষকে মারধর করে। এখন ওদের দুইজনকে ধরে ভালো করছে। কিন্তু টাকা দিয়া যদি দুইদিন পর চলে আসে তাহলে লাভ কি? তারা এর আগেও জেলে গেসে কিন্তু লাভ হয়নি। আবার এসে উৎপাত বাড়ায় দিসে।

একই এলাকার আরো এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওরা পুরা গোষ্ঠি এই কলোনী জিম্মি কইরা রাখছে। সবাই মাদক ব্যবসা করে। এই জন্য যত খুন খারাপি আর মারামারি। কেউ তো মুখ খুলেনা এটা নিয়া। কারণ ওদের বুক পিট নাই। ওদের অস্ত্রের অভাব নাই। এগুলো নিয়া গেলে ভালো হয়। কারণ কিছু হইলে এগুলো নিয়া বাইর হয়। আমরা চাই আস্তে আস্তে জিমখানার সব অপরাধীগো এই রকম ধইরা নিয়া যাক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিরউদ্দীন বলেন, এরা জিমখানার ভয়ঙ্কর অপরাধী হিসেবে পরিচিত। তাদের যন্ত্রণায় সবাই অতিষ্ট ছিলো। আমরাও ছিলাম। তাই অনেক চেষ্টার পর র‌্যাব তাদের ধরেছে এজন্য তাদের ধন্যবাদ। শহরের সকল অপরাধীদের ধীরে ধীরে আইনের আওতায় আনা হবে। 

Islam's Group