ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল পথের সাথে যুক্ত হচ্ছে শিল্প অধ্যুষিত নারায়ণগঞ্জ। কর্ডলাইন কারিগরি সহায়তা প্রকল্পে জেলাটিতে ৩টি স্টেশন নির্মাণের প্রস্তাবও রয়েছে। ইতোমধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রেলপথের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার কমবে, বাঁচবে যাত্রীদের মূল্যবান সময়। প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ চলতি মাসে রেল মন্ত্রণালয়ের সভায় নির্ধারণ হতে পারে।
ব্রিটিশ শাসকেরা তাদের সুবিধার্থে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথটি টঙ্গী-ভৈরব, আখাউড়া হয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও সেই পথ ধরেই যেতে হচ্ছে দেশবাসীকে। এ নিয়ে গত কয়েক দশকে বহু আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সীমাবদ্ধ ছিল আওয়ামী লীগের সরকার।
ছাত্রজনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী সরকারের পতনের পর ২৫ নভেম্বর কর্ডলাইন বাস্তবায়নের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় রেল মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের শ্যামপুর-জালকুড়ি-বন্দর-সোনারগাঁও হয়ে মেঘনা ও গোমতী (দাউদকান্দি) নদীর উপর দিয়ে কুমিল্লা জেলার তিতাস, ইলিয়টগঞ্জ, চান্দিনা হয়ে কুমিল্লার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড সংলগ্ন শ্রীনিবাস পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত রেলপথটির একটি অংশ সংরক্ষিত শালবন বিহার এবং পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করবে। এটি বাস্তবায়ন হলে ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাতায়াতের দূরত্ব কমে আসবে ৯০ কিলোমিটার। কমবে যাতায়াতের সময়ও।
গত কয়েক মাসে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন অংশে সেই প্রকল্পের সমীক্ষা পরিচালনা হয়েছে।
আলীগঞ্জ, পিলকুনি, শিয়াচর, কুতুবপুর, জালকুড়ি, বন্দর ও সোনারগাঁয়ে প্রায় ২শ মিটার প্রস্থ জমি নিয়ে সমীক্ষায় পরিচালনা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট জমিগুলোতে বিদ্যুতের খুটি গণনা, মাটি পরীক্ষাও করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের এই অংশে ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তাই অধিগ্রহণ হতে পারে ৭০ ফিট। এছাড়া জালকুড়ি (নম পার্কের পাশে), বন্দর ও সোনারগায়ে ৩টি স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
কর্ডলাইনের অগ্রগতি সম্পর্কে ‘কর্ডলাইন কারিগরি সহায়তা প্রকল্প’র পরিচালক মো. আবিদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পে সমীক্ষার শেষ হয়েছে জুনে। সবশেষ বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমীক্ষার রির্পোট পাওয়ার পর চূড়ান্ত করা হবে কোন কোন প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
আপনার মতামত লিখুন :