News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

কাশেমীতে কপাল পুড়তে পারে বিএনপির তিন হেভিওয়েটের


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম কাশেমীতে কপাল পুড়তে পারে বিএনপির তিন হেভিওয়েটের

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিএনপি থেকে তিনজন হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, এই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে একবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী শাহআলম এবং জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। তবে এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনজনেরই কপাল পুড়তে পারে বিএনপির জোটের শরীক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশ এর প্রার্থী মনির হোসাইন কাশেমীর কাছে। এছাড়াও আসন পুনঃনির্ধারণ করা হলেও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দুইজন হেভিওয়েট প্রার্থী ছিটকে পড়তে পারেন মনোনয়ন দৌড়ে।

জমিয়তে ইসলামী বাংলাদেশ এর নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনির হোসাইন কাশেমীকে প্রার্থী করতে বদ্ধপরিকর। সেই ক্ষেত্রে জোটের স্বার্থে বিএনপি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি জোটের শরীক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশ ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যদি এমনটা হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থীরই কপাল পুড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনজন প্রার্থীর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে দুইজন প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর মধ্যে ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়নে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমানকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। নির্বাচিত হওয়ার নিজ দলের লোকদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি সহ নানা বির্তকিত কর্মকাণ্ড করে সমালোচিত হওয়া মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে আর মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন ব্যবসায়ী নেতা শাহআলম। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চলচিত্রের মিষ্টি মেয়ে সারাহ বেগম কবরীর কাছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে ছিলেন শাহআলম। এর পর থেকে এই আসনে বিএনপির কোন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শামীম ওসমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে উক্ত আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হয়েছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশ এর প্রার্থী মনির হোসেন কাশেমী। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচনে অংশ নিলেও একতরফার ওই নির্বাচনে শামীম ওসমানের প্রভাবের কাছে টিকতে পারেনি মনির হোসেন কাশেমী। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে আবারো বিএনপি জোট নির্বাচনে অংশ না নিলে আবারো শামীম ওসমান অনেকটা ফাকা মাঠে এমপি নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের শাসন ক্ষমতার ১৬ বছর বিএনপির কোন প্রার্থী ছিল না। আগামী ত্রেয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জোটের কারণে উক্ত আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী না দেখার সম্ভাবনা অনেক বেশি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Islam's Group