নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় ব্যাক্তিমালিকানাধীন জমি রেলওয়ে কর্তৃক উচ্ছেদের পায়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী। মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর সকালে চাষাঢ়া রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চাষাঢ়া- ইসদাইর সংযোগ সড়কে মানববন্ধনে অংশ নেন কয়েকশ এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিউ চাষাঢ়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুর রাজা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ আল নোমান, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কাশেম, আরবান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগম, সিরাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমানসহ আরো অনেকে।
বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী বলেন, তাদের জমিগুলো সি এস রেকর্ড থেকে আর এস রেকর্ড পর্যন্ত তিনটি পর্চায় সম্পূর্ন ব্যাক্তি মালিকানা রেকর্ড রয়েছে। তারা নিয়মিত সরকারকে খাজনা, ট্যাক্স প্রদান করে আসছেন। প্রায় ২ একর জমিতে অন্তত ৮০ টি বসতবাড়ি রাজউকের অনুমোদিত সুউচ্চ দালান, সরকার অনুমোদিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আরবান স্কুল, মহিলা মাদরাসাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে তারা কয়েক দশক ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে। কয়েকদিন আগে রেলওয়ের নাম নিয়ে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি আমাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য মাইকিং সহ লাল রং দ্বারা বিভিন্ন জাগায় স্থাপনা চিহ্নিত করে ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তিতে উচ্ছেদের হুমকি প্রদান করে। আমারা তাদের কাছে লিখিত নোটিশ চাইলে তারা বলে আমাদের জমি আমরা উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাবো আমরা কাউকে উচ্ছেদের নোটিশ দিবো না। রেলওয়ের ডিএম তাদের মালিকানার কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। তারা তাদের সৃজিত একটি ম্যাপের দ্বারা আমাদের উচ্ছেদ করতে চায় এবং মৌখিকভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে যে তিন সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদেরকে জমি ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় ৪ সেপ্টেম্বর তারা আমাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করবে। আরো বলে এই জমিতে বসবাস করতে হলে রেল হইতে লিজ নিয়ে বসবাস করিতে হইবে। এমনকি উচ্ছেদের সময় আমাদের কোন কাগজপত্র দেখা হবে না। তাদের এই আচরণ এবং হুমকি আমাদেরকে আতঙ্কিত করেছে।
এর আগে ২০১৭ সালে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ডাবল লাইনের কাজের সময় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হয়েছে তখন আমাদের জমি নিয়ে রেলওয়ের কোন দাবি করা হয়নি এবং কোন অপ্রতিকর ঘটনাও ঘটেনি। রেলের নিজস্ব অধিগ্রহনকৃত জায়গাতে কাজ চলমান তবে এখন কেন এই অভিযানের নামে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির মালিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। বিষয়টি যাচাই বাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাাসকের কাছে স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবি জানানো হয়। ৪ সেপ্টেম্বর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করতে আসলে যদি আইনশৃংখলার অবনতি ঘটে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনাসহ হতাহতের ঘটনা ঘটে তার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন দায়ী থাকবে বলেও হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন এলাকাবাসী।
আপনার মতামত লিখুন :