News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২

ক্যাডারদের মিছিল আলোচনায় শামীম ওসমান


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৫, ১০:১৫ পিএম ক্যাডারদের মিছিল আলোচনায় শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জের এক সময়ের প্রভাবশালী এমপি ছিলেন শামীম ওসমান। বিগত ১৫ বছর তিনি নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনের একাই নিয়ন্ত্রক ছিলেন। ওসমানদের হাতে দখলে থাকায় অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটি মুঠোবন্দী রাখতেন। কিন্তু গত বছর জুলাই আগষ্ট ছাত্র-জনতা তান্ডবে বোরকা পড়ে পালিয়ে যান ওসমান পরিবারের হেভিওয়েট শামীম ওসমান ও তার অনুসারিরা। বছর ঘুরে হঠাৎ শামীম ওসমানের নাম শোনা যাচ্ছে শহর ও ঢাকা অঞ্চলে।

টানা ১১ বছর এমপি দায়িত্ব পালন করে নিজ বাহিনী গড়ে তুলে আলোচিত ছিলেন শামীম ওসমান। নিজের ছেলে অয়ন ওসমান, বড় ভাইয়ের ছেলে ভাতিজা আজমেরি ওসমান ও মেজ ভাই সেলিম ওসমানের ছিল নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। ওসমান পরিবারের কাছে নারায়ণগঞ্জ জিম্মি এমন দাবি করে সড়কে মানববন্ধন সভা সমাবেশ করে বলতেন আওয়ামীলীগ ও বাম দলের একাধিক নেতা-নেত্রীরা।

গত বছর ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর এক বছর বেশি সময়ে যাবৎ দেশ ছেড়েন শামীম ওসমান। গত বছর ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জ শহর ও সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে তান্ডব চালিয়ে ছিলেন তিনি। অনুসারিদের নিয়ে ছাত্র-জনতা উপর গুলি বর্ষন করে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার বাহবা পেলেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। যার কারণে ৩০ আগষ্ট শামীম ওসমান স্ব পরিবারে দেশ ছাড়া গুঞ্জন উঠে। পরবর্তিতে ৩ আগস্ট তাকে দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায় এবং তিনি দেশে আসেন বলে মিডিয়াকে জানান।

সবশেষ গত ২৪ আগষ্ট রাজধানী ঢাকা মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের সামনে থেকে শুরু হওয়া এ মিছিলে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জের গডফাদার পলাতক শামীম ওসমানের অনুসারীরা। মিছিল থেকে বন্দরের সন্ত্রাসী রাজু ওরফে স্ট্যান্ড রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সহ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় ঝটিকা মিছিল করে। ওই ঝটিকা এ মিছিলের নেতৃত্ব ছিলেন ফতুল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী মীর হোসেন মীরু ওরফে ল্যাংড়া মীরু এবং বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মিছিল করার লক্ষ্যে কয়েক মাস ধরেই এই সন্ত্রাসীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম-এ মেসেজ গ্রুপ খুলে কর্মীদের একত্রিত করে। একটি স্ক্রিনশট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৭ জুলাই ঢাকায় মিছিল করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন ওসমান পরিবারের অনুসারীরা। তাদের টার্গেট জ্বালাও-পোড়াও এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আতঙ্ক তৈরি করা। টেলিগ্রামের সেই গ্রুপ মেসেজে ফতুল্লা থানা বিএনপির একাধিক নেতাকে টার্গেট করে হামলার ছক তৈরি করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। মেসেজে ছিলো- ‘ঐক্য হও লড়াই খুব নিকটে। আমরা যাতে কুতুবপুরে একসাথে নামতে পারি। মীরু চাচা যোগাযোগ বাড়ান। আমাদের খুব শীঘ্রই মাঠে নামা লাগবে।’

অন্যদিকে সন্ত্রাসী মীর হোসেন মীরু, তার ভাগ্নে শাকিল, ভাই আলমগীরসহ অনেকেই একসাথে ঢাকার জুরাইন এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। ২৩ আগষ্ট মীরু নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে একটি বৈঠকও করেছেন। সেই বৈঠকেই ২৪ আগষ্ট মিছিলের সিদ্ধান্ত হয়ে বাস্তবায়ন করে আলোচনা সৃষ্টি করেন।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকেই সন্ত্রাসী মীরু পলাতক রয়েছেন।

Islam's Group