নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন আয়তন অনুয়ায়ী খুবই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। শহরের ১৪নং ওয়ার্ডের দেওভোগ আখড়া এলাকায় অবস্থিত সর্ববৃহৎ জিউস পুকুরটি একসময় ছিল এই এলাকার ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার সর্বসাধারণ মানুষের অজু, গোসল, হিন্দু ধর্মের মানুষের বিয়ে পূজা পার্বন সহ নিত্যদিনের সকল প্রকার ধোয়া পোঁছার জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্কার পানির এক বিশাল উৎস।
সেই ঐতিহ্যবাহী জিউস পুকুরটি এখন ভূমিদস্যুর দখলে। রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়নের মাধ্যমে যেখানে দেশব্যাপী জলাশয় ভরাট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সর্ববৃহৎ এই জিউস পুকুরটি কিভাবে এখনো ভূমিদস্যুদের দখলে? এই অবৈধ দখলদাররা দিন দিন পুকুরটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলে ঐতিহ্যবাহী এই পুকুরটিকে একটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে যার কারণে এই পুকুরটি মানুষের ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং এই পুকুরটি এখন শহরের সবচাইতে বড় ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার জীবাণুবাহী মশার প্রজননক্ষেত্র। যার ফলে দুঃখজনকভাবে নারায়ণগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ঘোষিত ডেঙ্গু মহামারীর রেডজোন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।
কিছু দিন আগে জিউসপুকুরের পার্শ্ববর্তী বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলের চারজন শিক্ষার্থী সহ আশেপাশের এলাকায় ২৫/৩০ জন নাগরিক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। দিন দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে।
তাই নারায়ণগঞ্জ শহরবাসীকে এই ডেঙ্গু মহামারীর ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কতৃক ঐতিহ্যবাহী জিউস পুকুরটি পরিস্কার করার জন্য নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্র দলের সাবেক সফলতম সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্যতম নেতা জাকির খানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করা হয়েছে।
মানববন্ধন শেষে দেওভোগ পোশাক প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সভাপতি ও সমাজ সেবক মো. কবির হোসেন খাঁন নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রশাসক এর কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়ে বিষয়টি তাকে অবহিত করেছেন, যার অনুলিপি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে দেওয়া হয়েছে।
সমাজ সেবক মোঃ আল-আমিন খাঁনের সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, একের পর এক শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এই মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন আয়তন অনুয়ায়ী খুবই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।
বিশিষ্ট পরিবেশবিদ এবি সিদ্দিক, সমাজ কর্মী ফারহানা মানিক মুনা, দেওভোগ ভূইয়ারবাগ মাদ্রাসার মুহতামীম মাওলানা আবু বক্কার সিদ্দিক, দেওভোগ রামসীতা আখড়ার পূজারী শ্রী শ্যামল মহারাজ, দেওভোগ লক্ষীনারায় আখড়ার পূজারী শ্রী দীপঙ্কর মহারাজ, সমাজ সেবক সলিমুল্লাহ করিম সেলিম, মেহেদী হাসান লিটন, সালেহ আহামেদ রনি, মো. মশিউর রহমান চৌধুরী মশু, এজাজ চৌধুরী, মোঃ জুয়েল হোসেন, মো. নাজির আহাম্মেদ, মোঃ নূর হানিফ, জিয়াউর রহমান জিয়া, রাকিব হাসান রাজ।
উক্ত মানববন্ধনে বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, মাদ্রাসা ইশাআতুল কোরআন ওয়াস্ সুন্নাহ্ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সহ শহরের সকল স্তরের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।








































আপনার মতামত লিখুন :