বন্দরের মদনপুর এলাকায় ২৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আপেল মারুফকে আটক করেছে বন্দর থানা পুলিশ। সোমবার ২৭ অক্টোবর বিকেলে মদনপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে ধামগড় ফাঁড়ির এস.আই মফিজুল ইসলাম।
আটকের সত্যতা স্বীকার করে মফিজুল ইসলাম জানান তাকে আটক করে থানায় পাঠানো হয়েছে, এ ব্যাপারে ওসি সাহেব বিস্তারিত বলতে পারবেন।
এদিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, আপেল মারুফ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে থানা আনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আপেল মারুফের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে বিয়ে করতে চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজি না হওয়ায় ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন সহ এছাড়াও ওই ছাত্রীর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবারকে ব্লাক মেইলিংয়ের চেষ্টা করছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীর মা।
রোববার ২৬ অক্টোবর ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শিক্ষার্থীর মা ও অভিযোগের বাদী জানান, ঘটনার দিন আমি খবর শুনে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে ঢাকায় বনশ্রিতে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর দিন মদনপুরে মার্কেটে আমার স্বামীও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বারাকহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে আসলে আপেল মারুফ এর ভাই মোমেন ও আল-আমিন আমার মেয়েকে ফিরিয়ে এনে দেওয়ার দায়িত্ব নেন। এরপর তারা কাগজে লিখিত নিয়ে আমার মেয়েকে ফেরত দেন এই শর্তে যে এ ব্যাপারে আমরা পুলিশের কাছে যাবোনা। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত আমার মেয়ের ছবি দিয়ে ফেসবুকে নানান ধরনের কথাবার্তা লিখছে এবং আমাদের ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করায় আমরা বাধ্য হয়ে আজকে বন্দর থানায় অভিযোগ দিয়েছি।








































আপনার মতামত লিখুন :