নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ১০ নম্বর সেক্টরে ঘোড়ার মাংস বিক্রির সময় ফয়েজ মিয়া নামের এক বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। জবাইকৃত ৫টি ঘোড়া উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (১ জুলাই) ভোররাতে রূপগঞ্জ উপজেলার আনসার সদস্যদের একটি টহল দল অভিযান চালিয়ে ওই বিক্রেতাকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ৩টায় রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলের ৩০৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর প্লটে টহলরত অবস্থায় আনসার সদস্যরা একটি সিএনজি অটোরিকশা দেখতে পান। সন্দেহ হলে অটো রিকশাকে লক্ষ্য করে আনসার সদস্যরা এগিয়ে গেলে ঘোড়ার মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান একটি চক্র কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই পাঁচটি ঘোড়া জবাই করেছেন এবং অটোরিকশা ও সিএনজি যোগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করছেন। ঘটনাস্থল থেকে ফয়েজ মিয়া নামে একজনকে আটক করেন। আনসারদের আশার উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যান।
আটক ফয়েজ মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার বরমপাড়া এলাকার হাফিজ মিঞার ছেলে।
স্থানীয় বেশ কয়েক জন আরো জানান, পূর্বাচল উপশহর নিরব এলাকা হিসেবে বেছে নিয়েছে । বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় চক্রটি ঘোড়ার মাংস বিক্রি করছে । মঙ্গলবার ভোরে একটি প্লটের ভিতরে পাঁচটি ঘোড়া জবাই করে তাদের মাংস আলাদা করা হয়। এছাড়া সেখান থেকে এই ঘোড়ার মাংস বিভিন্ন মাংস বিক্রেতাদের কাছে সিএনজি ও অটো রিক্সা যোগে বিক্রি করা হয়। আনসার সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে খবর দেন এবং আটককৃত ফয়েজ মিয়াকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে পূর্বাচল আনসার কমান্ডার আবুল হোসেন বলেন, “রাতের টহল চলাকালে আমরা ১০ নম্বর সেক্টরের একটি পরিত্যক্ত প্লটে সন্দেহজনক কিছু দেখতে পাই। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫টি জবাইকৃত ঘোড়া ও একজনকে আটক করি। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানো হয় এবং রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারি পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, ঘোড়ার মাংস বিক্রির সময় আটক ব্যক্তি একজন সিএনজি চালক বলে জানতে পারি। সিএনজির মাধ্যমে ঘোড়ার মাংস বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেন তিনি। আটক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :