নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের শান্তিরবাজার এলাকায় সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের প্রতিবাদ জানালেও স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অভিযোগের কোন ধরনের তোয়াক্কা না করেই সড়কটিতে ঢালাই দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলীর দাবি উত্থাপিত অভিযোগ আদৌ সত্য নয়। ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রী ল্যাব টেস্টের পরেই সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে বলে তাদের দাবি।
স্থানীয়দের অভিযোগে জানা গেছে, সোনারগাঁয়ের শান্তিরবাজার এলাকায় সড়ক নির্মাণের কাজ পান ঠিকাদার সোহেল। ওই সড়কটি নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বালু ও পাথর নিম্নমানের বলে দাবি এলাকাবাসীর। সড়কটি ঢালাই কাজে যেই সিলেকশন বালু করা হয়েছে সেগুলোতে কাদামাটি মিশ্রিত ছিল বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও যেই পাথর ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোও নিম্নমানের। ব্যবহৃত রডও নিম্নগ্রেডের। এসব বিষয়ে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কাছে জানতে চাইলেও সে কোন ধরনের কর্ণপাত করেনি বলে দাবি এলাকাবাসীর। এছাড়া সড়কটি ঢালাই কাজ করার পূর্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) লোকজনদের জানানো হলেও তারা কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানান তারা। এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালেও তাতে কোন কাজ হয়নি। বরং প্রতিবাদকে কোন ধরনের কর্ণপাত না করেই মঙ্গলবার সড়কটিতে ঢালাই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সড়কটির ঠিকাদার সোহেলের সঙ্গে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর ও উপ সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের যোগসাজশ থাকায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার সহজ হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
তবে এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার মিয়া সোহেলের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রশ্নই ওঠেনা। ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রী ল্যাব টেস্টের পরেই সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢালাই কাজও সম্পন্ন হয়েছে। তিনি সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখে আসার আহবান জানান।
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরীর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ব্যবহৃত সকল নির্মাণ সামগ্রী ল্যাব টেস্টের পরেই সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা নিজেরা তদারকি করার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তিনি দাবি করেন। ঠিকাদারের মতো তিনিও সরেজমিনে সড়ক নির্মাণস্থল পরিদর্শনের আহবান জানান।





































আপনার মতামত লিখুন :