৩ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনীত প্রার্থী হন নব্য যোগদানকারী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তার নাম ঘোষণার থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত পাচঁজন এক টেবিলে বসে তার প্রার্থীতা বাতিলের দাবি জানান। প্রায় দেড় মাস পর ১৬ ডিসেম্বর হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানো ঘোষণা মাসুদুজ্জামান মাসুদ। নতুন করে আলোচনা উঠে মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের নাম। পরপরই মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান নিজেকে মনোনীত প্রার্থী জানিয়ে চারদিকে তোড়জোড় শুরু করে। ছয়দিনের মাথায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পান সাবেক তিনবারের এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।
বুধবার সকালে ফেসবুকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত মনোনয়পত্রটি ছড়াছড়ি হলে নতুন করে শুরু ‘কি ভাই.. মনোনয়ন আবার কে পাবে?’ এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সাংবাদিকদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনীত মাসুদুজ্জামান আবারো প্রার্থী হবেন এমন আস্থা দিয়েছেন তার সমর্থক পেজে। যার কারণে এখনো বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ২/৩ দিনের মধ্যে নতুন বার্তা আসছে এমন তথ্য দিয়েছেন মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তিনি জানিয়েছেন, মনোনয়ন চূড়ান্ত সময়ে এখনো রয়েছে।
বুধবার বিকালে বন্দর কদম রসূল দরগাহে দোয়া ও মিলাদে অংশ নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নতুন করে মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি আবুল কালাম। তার সাথে মনোনয়ন বঞ্চিত শিল্পপতি আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল সহ মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটি কয়েক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে আবুল কালামকে জয়ী করার আহবান জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতা আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেছেন, আমরা সকলে ধানের শীষকে জয়যুক্ত করবো। আমাদের সকলের মুরুব্বি আবুল কালাম সাহেবকে ধানের শীষ মার্কায় জয়যুক্ত করবো। এতদিন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও ঐক্যবদ্ধ ছিলাম যে মনোনয়ন আমাদের মধ্যে থেকে কেউ পাবো।


































আপনার মতামত লিখুন :