পুলিশের তালিকাভুক্ত ডাকাত মনছুর আলী () ও সেলিম মিয়া (৩৫)। মনছুরের নামে তিনটি আর সেলিমের নামে ২টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের পাজারদিয়া এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে কুপিয়ে জখম করেছেন পনেরজন মানুষ। ডাকাতি করতে গিয়ে ভয় দেখাতে মানুষকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা তাদের নেশা।
সোমবার ভোরে আড়াইহাজার থানা পুলিশ উপজেলার গোপালদী পৌরসভার জালাকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে ডাকাতির করার সময় কোপানোর লোমহর্ষক সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
পুলিশ সোমবার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মনছুর জালাকান্দি গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। আর সেলিম একই এলাকার লাল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ বলছে, মনছুর ও সেলিম আন্তজেলা ডাকাত দলের তালিকাভুক্ত সদস্য। ডাকাতির সময় কোপানোর কাজটি তারা দুজন করে থাকে। মানুষকে কুপিয়ে টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নেয়। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের পাঁজারদিয়া গ্রামের মুনসুর আলম ও আনোয়ার মোল্লার বাড়ীতে ২০/২৫ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাতদল হানা দেয়।
ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুনসুর আলমের ঘর থেকে নগদ ৬৬ হাজার টাকা এবং এক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং আনোয়ার মোল্লার ঘর থেকে নগদ ১৫ হাজার টাকা এবং দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুটে নেয়।
ডাকাত দলকে বাধা দিলে তারা মুনসুর আলম, তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার, মেয়ে তানহা আক্তার এবং ছেলে তামিম ইকবালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
এসময় মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়ার কথা ঘোষণা করা হলে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ডাকাতদলকে ঘিরে ফেলে। ডাকাতদল গ্রামবাসীর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে এবং এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে হাবিবুর রহমান, আশ্রাফুল ইসলাম, আলী আকবর, কাউসার মিয়া, সাইফুল ইসলাস, হাতেম আলী, রাকিব ইমলাম, সাকিব আল হাসানসহ অন্তত ১৫জনকে কুপিয়ে জখম করে।
ডাকাতদল ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। আহতদরেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ডাকাতদের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত মনছুর ও সেলিমও ছিলো। এ কেপানোর ঘটনার সাথে মনছুর ও সেলিম ছিলো।
থানা পুলিশের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ডাকাত সেলিম ও মুনছুর হিংস্র প্রকৃতির মানুষ। মানুষকে কোপাতে পারদর্শী হওয়াও বিভিন্ন ডাকাতদলে তাদেরকে হায়ার করে নেয়া হয়। ডাকাতি করতে গিয়ে তারা শুধুমাত্র মানুষকে কোপানোর কাজ তারা দুইজন করে থাকে। সম্প্রতি আড়াইহাজারে ডাকাতি ঘটনায় বেশকিছু মানুষকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। তার বেশ কিছু ঘটনার সাথে তাদের দুই জনের উঠে আসে।
আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুই ডাকাত তাদের সহযোগিদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। পুলিশ তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।





































আপনার মতামত লিখুন :