News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২

উজ্জীবিত কালাম সমর্থকরা


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫, ১০:০৫ পিএম উজ্জীবিত কালাম সমর্থকরা

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হয়েছিলো নব্য বিএনপিতে যোগদানকারী শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ। গত ৩ নভেম্বর মনোনীত হলেও তিনি ১১ নভেম্বর মনোনয়ন বঞ্চিত ও সাবেক এমপি আবুল কালামের বাসা গিয়ে দেখা পাননি। এতে করেন নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণে বার্তা বয়ে আনে শহর-বন্দর আসনে। এরপর থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পক্ষে-বিপক্ষে কোন অবস্থানে দেখা যায়নি তিনবারের সাবেক এমপি আবুল কালামকে। বরং তার ছেলে মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশা একাধিক সভা সমাবেশে মাসুদুজ্জামানের অর্থের রাজনীতিতে ইঙ্গিত করে সমালোচনা করেছিলেন। একই সাথে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একাধিক স্লোগানে ছিলেন মল্লযুদ্ধ।

বিএনপি প্রতিষ্ঠাকালে জিয়াউর রহমানের সাথে ছিলেন আবুল কালামের পিতা হাজী জালালউদ্দিন আহম্মেদ। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার সূত্রে ধরে ও বিএনপি আদর্শে গড়া আবুল কালামকে ১৯৯১ সাল থেকে টানা ছয় বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী করা হয়। এতে তিনি শহর-বন্দরের মানুষের ভোটে তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নে ছিলেন প্রশংসিত। আবুল কালাম ক্লিন ইমেজে রাজনীতি কারণে তার কোন নিজস্ব বাহিনী বা বলয়ে নেই। যার কারণে শহর-বন্দরের মানুষের মধ্যে এখনো তার জনপ্রিয়তা রয়েছে তুঙ্গে।

জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন সাবেক এমপি আবুল কালাম, মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, শিল্পপতি আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল, শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। এদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পছন্দে মাসুদুজ্জামান মাসুদকে মনোনীত করে ঘোষনা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এতে আবুল কালাম সহ মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হলেও এক চুল পিছু হটেনি আবুল কালাম। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রাথমিক ঘোষনায় কেউ মনোনীত হলেও চূড়ান্ত ঘোষনা আমাকে মনোনীত করা হবে-ইনশাআল্লাহ। তাই কেউ কারোন বিরুদ্ধে বক্তব্যে বা মন্তব্যে করবেন না। দল যার হাতে ধানের শীষ তুলে দিবেন আমরা সকলে তার পাশে আছি।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন একই সাথে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রয়েছেন। আওয়ামীলীগ আমলে আবুল কালাম ও তার ছেলে আবুল কাউসার আশা একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদের আদর্শে ছোট বেলা থেকে আবুল কালাম ও তার উত্তরসূরিরা দলের তৃনমূল পর্যায়ে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। তিন প্রজন্ম মধ্যে জালাল হাজী, আবুল কালাম ও আবুল কাউসার আশা রয়েছেন। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে অংশ নেননি আবুল কালাম। বয়স্ক হলেও মহানগর বিএনপি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের এক কাতারে রেখেছিলেন তিনি। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটির কয়েকজন সদস্য ও আবুল কালামের সমর্থকরা জানিয়েছেন, আবুল কালাম পর পর ছয়বার শহর-বন্দর আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি তিনবার জয়ী হয়েছে এবং বিএনপি সরকার গঠন করেছেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা অন্যতম সদস্য জালাল হাজী সন্তান হিসেবে আবারো আবুল কালামকে মনোনয়ন দিবেন তারেক রহমান এটা আমাদের সকলের বিশ্বাস। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটি বিএনপি প্রার্থী জয়ী করতে হলে অবশ্যই আবুল কালামের বিকল্প নেই। টাকা পয়সা দুইদিন ভালোবাস চিরদিনে স্লোগানে আমরা এখনো আবুল কালামকে মনোনীত প্রত্যাশায় রয়েছি।

তারা আরো বলেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে যাকেই ধানের শীষ দিবেন তাকেই আমরা সমর্থন নিয়ে মাঠে নামবো। কিন্তু দেড় মাসের ব্যবধানে প্রাথমিক ঘোষিত প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। এতে করে তৃনমূল বিএনপি নেতা-কর্মীরা একেক এক প্রার্থী সমর্থন দিয়ে দলকে বিভাজনে ফেলেছেন।

Ad Placement 1
Ad Placement 2
Islam's Group