বিদেশে পলাতক শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে একশ্রেণির বিপথগামী নেতাকর্মী যেভাবে চোরাগোপ্তা ঘটনা ঘটছে এতে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা কারণে ছাত্র-জনতা হতাহত মামলায় আসামী ও পদধারী আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। একটি পক্ষ নিজেদের বলয় শক্তিশালী দেখাতে ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি স্থানে মশাল মিছিল ও চোরাগোপ্তা ঘটনা ঘটছে।
গত ১৩ নভেম্বর ঢাকা লকডাউন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিদেশে বসে পলাতক শীর্ষ নেতারা দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাতে সারা দেশে আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে এক শ্রেণি আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। তাতে দলটির ভবিষ্যতে টিকে থাকার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে আসছে মন্তব্যে পদধারী নেতাদের।
টানা সাড়ে ১৫ বছরের দুঃশাসনের এক পর্যায়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগের চরম পতন হয়। ছাত্র-জনতা থেকে বাঁচতে দেশত্যাগ করতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে। একটি বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে ভারতে পালিয়ে যেতে হয়। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে দেশে ফেলে তিনিসহ তার পরিবারের প্রায় সবাই আগে-পরে বিদেশে পাড়ি দিতে সক্ষম হন। দুর্নীতিগ্রস্ত বেশির ভাগ প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিও চোরাইপথে বিদেশে সটকে পড়েন। অনেকে বারা গ্রেপ্তার হয়ে এখনো জেলে দিন কাটছেন।
এদিকে আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী অনেকে আত্মগোপনে ও জেলে, তখন কয়েক মাস ধরে বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন। এতে বিদেশে পলাতক শীর্ষ নেতারা দেশে মাঠ পর্যায়ে নেতাদের ফেসবুকের মাধ্যমে নিদের্শ দিচ্ছেন। এতে সাধারণ নেতাকর্মীদের উসকে দিচ্ছে বিপদগামী সময়ের দিকে। এ কারণে অনেকে আবেগে পড়ে ঝুঁকি নিয়ে ঝটিকা মিছিল করছে। আর এ রকম ঝুঁকি নিতে গিয়ে ইতোমধ্যে সারা দেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতা বলেন, পতনের প্রায় ১৫ মাসের বেশি সময় পার হলো, তাদের সামনে এখনো পর্যন্ত সঠিক কোনো দিকনির্দেশনা নেই। দল কীভাবে ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সে পথনকশা কেউ দিচ্ছেন না। বরং যা বলা হচ্ছে, তা করতে গেলে দল শক্তিশালী হওয়া তো দূরের কথা তারা ফের বিপদে পড়বেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে কীভাবে অংশ নেওয়া যায় সেটিই হওয়া উচিত প্রধান লক্ষ্য। এক্ষেত্রে নানারকম কলাকৌশল থাকতে পারে।
আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ে নেতারা পলাতক ও আত্মগোপনে থাকায় জেলা মহানগর পর্যায়ে নেতারারও গা-ঢাকা দিয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও নভেম্বর মাস শুরু হঠাৎ কর্মসূচী ঘোষণা বিপাকে পড়েন তৃনমূল নেতাকর্মীরা। দলের অনুগত হয়ে তারা রাজপথে নামতে গিয়ে নির্যাতন হামলা মামলা শিকার হয়েছেন। এতে করে পারিবারিকভাবে তৃনমূল নেতা-কর্মীরা আওয়ামীলীগ থেকে ফিরতে চাপ দিচ্ছে পরিবার। এরপর নভেম্বর শুরু ও ১৩ নভেম্বর লকডাউনে কর্মসূচী আরো বিপদে পড়েন স্থানীয় পর্যায়ে নেতারা। চোরগোপ্তা হামলা ঘটনা ইতোমধ্যে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপর চাপ দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রতিপক্ষ দলের নেতা-কর্মীরা। যার কারণে আগামীকাল ১৭ নভেম্বর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের রায়ের দিন নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে অপ্রত্যাশিত ঘটনা রাজপথে অগুচ্ছানো নেতা-কর্মীরা রাজপথে দেখা যাবে না বলে জানিয়েছেন কয়েকজন নেতারা। একদিকে বিএনপি জামায়াত ইসলামী এনসিপি পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সোচ্চার থাকার কারণে আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা নিশ্চুপ ভূমিকা ছাড়া কোন সুযোগ থাকছে না বলে জানা গেছে।








































আপনার মতামত লিখুন :