News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

এক ঘাটে পানি খেল বাঘ ও মহিষ


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম এক ঘাটে পানি খেল বাঘ ও মহিষ

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আজহারুল ইসলাম মান্নানের মনোনয়ন পাওয়ার পর নেতাদের একতাবদ্ধ অবস্থান কিছু নেতাকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিএনপিরই সাতজন মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা একত্রিত হয়েছেন।

ওই সাত জনের একজন মামুন মাহমুদ জেলা বিএনপির আহবায়ক। কয়েক মাস আগেও তিনি সোনারগাঁয়ে এক সমাবেশে গিয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানকে এমপি হিসেবে দেখতে চান মন্তব্য করেন। মামুন সহ জেলা বিএনপির অপর যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব একাধিক সভা সমাবেশ ও মিছিলে গিয়েও একই দাবী তুলেন। কিন্তু সেই মামুন মাহমুদ এবার পাল্টে গেলেন। তিনি দাবী করছেন মান্নানের মনোনয়ন বাতিলের জন্য।

সাতজনের একজন গিয়াসউদ্দিন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আহবায়ক। এখন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য। সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তদন্ত সাপেক্ষে জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল। ‘বিএনপিতে টাকা হলে মনোনয়ন পাওয়া যায়’ মন্তব্য করে বছরখানেক আগে তুমুল সমালোচিত হন তিনি। ৩ নভেম্বর বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকা প্রকাশের পর ধানের শীষের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন গিয়াস। এবার তিনিও চাচ্ছেন মান্নানের মনোনয়ন বাতিলের।

এখানে বড় বিষয় সাতজনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী ও এমপি রেজাউল করিম। ক্ষমতায় থাকা সময়ে এ রেজাউল করিম ওরা ১১জনের বাহিনী গঠন করে সোনারগাঁওকে নিয়ন্ত্রন করতেন। ওয়ান এলেভেনের পর বিএনপি ও জিয়াউর রহমানের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের যে সংস্কারবাদী ছিল তাদের অন্যতম ছিলেন এ রেজাউল করিম। আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা, কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকা এবং খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা এসব কারণে রেজাউল করিমকে নিয়ে জনমনে ক্ষোভ দীর্ঘদিনের।

তবে মান্নানের বিরুদ্ধে একাট্টা হওয়া নেতাদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন ও মামুন মাহমুদের ঐক্য নিয়েও চলছে তুমুল সমালোচনা। কয়েক বছর আগেও মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পুলিশের দাখিলকৃত চার্জশীটে যাদের আসামি করা হয়েছে সেখানে গিয়াসউদ্দিনের ছেলেসহ তার কয়েকজন অনুসারীর নাম রয়েছে। যা নিয়ে নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

মামুন মাহমুদ ও গিয়াসউদ্দিনের এ বিরোধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সভা সমাবেশে প্রকট আকারে রূপ নিয়েছিল। একে অন্যকে ঘায়েল করতে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও আসে।

এরই মধ্যে মামুন মাহমুদকে আওয়ামী লীগ আমলে শামীম ওসমানের লোক হিসেবে আখ্যা দিয়ে এবং নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃত্বে থাকার অযোগ্য উল্লেখ্য করে গিয়াসউদ্দিন পন্থী ১৯ নেতা তারেক রহমান বরাবর আবেদন করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। জনগণের প্রতিক্রিয়া বলছে, সাত নেতার এই পদক্ষেপ উল্টো তাদেরই জনসম্মুখে অজনপ্রিয়তার প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Islam's Group