নারায়ণগঞ্জের জিমখানা এলাকার লেকে রমজান (২৩) নামের তরুণ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাত ৮টায় জিমখানা এলাকা থেকে মো. লিমন হোসেন নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। লিমনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় অন্তত ১১ টি মামলা রয়েছে।
গত ১১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টায় মন্ডলপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন লেকে যুবকের মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং অজ্ঞাত ব্যক্তির সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। পরে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবরটি প্রচারিত হলে নিহতের মা শনাক্ত করেন মরদেহটি তার ছেলে রমজানের।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রমজান (২৩) চার পাঁচ বছর পূর্বে বিবাহ করে বন্দর থানা এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করত। রমজানের সাথে জিমখানার তানভীর, শাহ আলম বাবু ছোট বাবু, জাহিদ, নাদিম, মো. লিমন হোসেন সহ আরো ১০/১২ জনের সাথে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সাথে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব শুরু হলে রমজানকে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে গ্রেফতারকৃত আসামি লিমন সহ অন্যান্যরা হত্যার হুমকি প্রদান করত। বিষয়টি লিমন তার মায়ের সাথে শেয়ার করে।
গত ১০ অক্টোবর রাত ২টায় মন্ডল পাড়া ব্রীজের পাশে চায়ের দোকানে চা ও সিগারেট খেতে দোকানে যায়। কিন্তু সেদিন রাতে রমজান আর বাসায় ফিরে নাই। পরবর্তীতে ১১ অক্টোবর রাতে মন্ডল পাড়া ব্রীজ সংলগ্ন জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন মো: ইমন মন্ডল পাড়াস্থ উত্তর পাড়ে লেকের পানিতে একজন পুরুষের মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ হেফাজতে নেয় এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন।
এক পর্যায়ে ভিকটিমের মা বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ জানতে পারেন যে, লেকের মধ্যে পাওয়া অজ্ঞাত যুবকের লাশটি তার ছেলে রমজানের। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা গ্রেফতারকৃত আসামি লিমনসহ আরো ৫ জনের নাম উল্লেখ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।








































আপনার মতামত লিখুন :