News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

‘মৃত’ নারায়ণগঞ্জ শহরের খুনী বিএনপি নামধারীরা!


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ১০:১৫ পিএম ‘মৃত’  নারায়ণগঞ্জ শহরের খুনী বিএনপি নামধারীরা!

৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নারায়ণগঞ্জ শহর যেন ক্রমশ বসবাসের অযোগ্য হতে চলেছে। পুরো বিবি রোড এখন হকারদের দখলে। মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে ফুটপাত ছেড়ে হকার নেমে গেছে সড়কে। সংকুচিত শহরে চলাচল করাটাই এখন দায়। যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হচ্ছে। স্তব্দ হয়ে যাচ্ছে পুরো নগর। কেউ কেউ বলছেন এ শহর এখন মৃত নগরী। প্রশ্ন উঠছে এ শহরকে কারা গলাটিপে হত্যা করছে। কারণ ৫ আগস্টের পর থেকে তো বিএনপি চালকের আসনে। শহরের পুরো হকার নিয়ন্ত্রন করছে বিএনপির নামধারী অনেকে। তাদের নিয়ন্ত্রক ও তদারকদের আবার দেখা যাচ্ছে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর সঙ্গে। আর প্রার্থী মাসুদুজ্জামান নিজেও বার বার বলছেন এ শহর এভাবে চলতে পারে না। অনেকটা এমনই যে অজগর সাপকে কোলে জড়িয়ে ঘুমানোর মত।

চাষাঢ়া থেকে দুই নং গেট, দুই নং গেট হতে ১নং গেট, গ্রীন্ডলেজ মোড় থেকে ফ্রেন্ডস মার্কেট, কালীরবাজারের সড়ক পুরোটাই যেন এখন হকার পল্লীতে পরিণত হয়েছে। দিন যাচ্ছে আর হকারদের সংখ্যা বাড়ছে। এসব হকারদের কাছ থেকে প্রতিদিন বেড়েছে চাঁদা আদায়ের পরিমাণ।

একাধিক হকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পুরো হকার সেক্টর নিয়ন্ত্রন করছে মিশনপাড়া, আমলপাড়ার একাধিক গ্রুপ। তাদের নিয়ন্ত্রন হয় হোসিয়ারী সমিতি মিলনায়তন হতে। সেখানে বিএনপির নামধারী কেউ কেউ এসব হকারদের আশ্রয় দেন। কোথাও কোন হকারের সমস্যা হলেই নেতারা ছুটে যান। কেউ কথা না শুনলে সেই সমিতির অফিসে বিচারের নামে টর্চার করা হয়। সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বদু একাধিকবার সে অভিযোগও তুলেন।

হকাররা জানান, দুই বেলায় টাকা আদায় করা হয়। আগে হকার নিয়ন্ত্রন করতে হকার্স লীগ নেতা রহিম মুন্সী ও আসাদুজ্জামান আসাদ। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর হকার দল হয়েছে। তারা এখন নিয়ন্ত্রন করে পুরো হকার। আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে চৌকি আর দোকান। সকালে ১০০ ও বিকেলের শিপটে তোলা হয় ৩০০ টাকা করে। আবার তাদেরকে দেওয়া হয়েছে জেনারেটরের লাইন। এ জেনারেটর পরিচালনা হয় বালুরমাঠ এলাকা হতে। এ লাইন বাবদও আদায় করা অতিরিক্ত টাকা।

একাধিক ব্যক্তি জানান, এ শহরের হত্যাকারী হিসেবে পরিণত হতে চলেছেন বিএনপির নামধারী নেতারা। তাদের কারণেই শহরের অরাজকতা। তাদের নিয়ন্ত্রন করবে এমন নেতৃত্বও বিএনপিতে তৈরি হয়নি। ফলে নামধারীরাই হত্যা করছে এ শহরকে। অযোগ্য করে তুলছে বসবাসের।

শহরের অন্যতম প্রধান ব্যস্ততম এলাকা হচ্ছে চাষাঢ়া গোল চত্ত্বর এলাকা। নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রবেশ কিংবা বাহির হতে হলে এই এলাকা দিয়ে অতিক্রম করতে হয়। ফলশ্রুতিতে এই এলাকাটিতে সবসময় যানবাহনের প্রচন্ড চাপ থাকে। আর এই যানবাহনের প্রচন্ড চাপের মধ্যেও চাষাঢ়া গোল চত্ত্বরের কাছেই শহীদ মিনার এলাকাটিকে মিনি বাসট্যান্ডে পরিণত করে রাখেন মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট নামের একটি বাস কোম্পানী।

চাষাঢ়ায় খাজা সুপার মার্কেটের সামনে মুক্তারপুরগামী লেগুনা স্ট্যান্ড এবং বিপরীত দিকে সুগন্ধা বেকারীর সামনে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় গামী অবৈধ স্ট্যান্ড। এছাড়াও চাষাঢ়ায় পৌর সুপার মার্কেটের সামনে অবৈধ বেবীট্যাক্তি ও টেম্পু স্ট্যান্ড। এছাড়া চাষাঢ়ায় সোনালী ব্যাংকের সামনে মুক্তারপুর গামী অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড। চাষাঢ়ায় রাইফেল ক্লাবের বিপরীতে রয়েছে সাইনবোর্ড গামী একটি অবৈধ লেগুনার স্ট্যান্ড। রাইফেল ক্লাবের পরে আজগর ফিলিং স্টেশনের পাশে রয়েছে অবৈধ একটি সিএনজি ও একটি টেম্পুর স্ট্যান্ড। সরকারী মহিলা কলেজের সামনে বিকল্প সড়কে রয়েছে ফতুল্লা-পাগলাগামী একটি বেবীট্যাক্সির অবৈধ স্ট্যান্ড। এছাড়া ২নং রেলগেট সংলগ্ন ইসলামী ব্যাংকের সামনে, অগ্রনী ব্যাংকের সামনে, কালিরবাজার এলাকাতেও রয়েছে কয়েকটি বেবীট্যাক্সির অবৈধ স্ট্যান্ড।

Islam's Group