মো. সলিমুল্লাহ করিম সেলিম সবার কাছে তিনি দাদা সেলিম হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছেন। বর্তমানে তিনি নিজেকে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের অন্যতম সহযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজেকে ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে। সেই নির্বাচনের বিশাল ব্যানার সাটিয়েছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ড কার্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবনে যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাকির খানের নাম ভাঙিয়ে দাদা সেলিম বর্তমানে শহরে নিজের প্রভাব বৃদ্ধি করে চলেছে। শহর ও বন্দরের বিভিন্ন স্থানে সে কার্যালয় গড়ে তুলেছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর বন্দরের যুবলীগ নেতা খান মাসুদের সহযোগী রোমানকে দিয়ে ২৩নং ওয়ার্ডের চিতাশাল এলাকায় একটি কার্যালয় তৈরি করে। ২২নং ওয়ার্ডের র্যালি এলাকায় প্রজন্মদলকে দিয়ে আরো একটি কার্যালয় তৈরি করে। ১৯নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জে রয়েছে আরো একটি কার্যালয়। সেই সাথে শহরের দেওভোগ শিশুবাগ স্কুলের পাশেই তার প্রধান কার্যালয় করা হয়েছে। সেখান থেকে সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ফতুল্লা স্টেডিয়াম এলাকায় তার একটি কার্যালয় রয়েছে।
দাদা সেলিম নিজেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন এলাকার এমপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আর ব্যানার লাগানো ওই এলাকাটি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন এলাকা। ওই এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থীর প্রচারণার ব্যানার লাগানোর বিষয়টি তাও মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয়ের ভবনে বিষয়টি অত্যন্ত দৃষ্টি কটু বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এ নিয়ে জাকির খান বলয়ের অনেকের মাঝে ক্ষোভ থাকলেও জাকির খানের একান্ত ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে দাদা সেলিমের কর্মকান্ড নিয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস দেখায় না। গুঞ্জন রয়েছে জাকির খানের একনিষ্ঠ কর্মী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার উপর হামলার পেছনেও কলকাঠি নেড়েছেন এই দাদা সেলিম।








































আপনার মতামত লিখুন :