News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২

সীমান্তের রক্ত দিয়েও ছিনতাই কমেনি


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫, ১২:৪১ পিএম সীমান্তের রক্ত দিয়েও ছিনতাই কমেনি

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) কম্পিউন্টার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন মো: ওয়াজেদ আলম সীমান্ত। ১৪ ডিসেম্বর তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী, ছেলেকে হারিয়ে এখনো কাঁদে বাবা আলম সহ পরিবারের সদস্যরা। গত বছর ১২ ডিসেম্বর সীমান্তের কাঁধে ব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নিতে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। এ সময় এলোমেলো ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত হয়ে দুইদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় সীমান্ত। এতে শহরের ছিনতাই ঘটনা কমে গেলেও আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে শহরের প্রতিটি অলিগলিতে।

সীমান্ত’র প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী দোয়া অনুষ্ঠানে বাবা আলম চাঁন জানান, দীর্ঘ সময় তদন্তের মাধ্যমে আদালতে চার্জশীট জমাও দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। গত ১৯ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ শামীম আজাদের আদালতে আলোচিত সীমান্ত হত্যা মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জ গ্রহণ করে। এ সময় আসামিদের বিরুদ্ধে আগামী বছর ৮ জানুয়ারি সাক্ষীর জন্য ধার্য করেছেন। আদালতে সঠিক বিচারে আইনজীবী ও সাংবাদিক সমাজের কাছে সহযোগিতা চাই। আর শহরের ছিনতাই রোধে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দৃষ্টি কামনা করছি।

তিনি আরও বলেন, কারাগারে বন্দি তিন ছিনতাইকারীরা এখনো হাইকোর্ট থেকে জামিনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাক্ষী গ্রহণে বাধাগ্রস্ত করতে পায়তারা করছে। ছেলেকে হারিয়েছি বিচারে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানায়।

মো: ওয়াজেদ আলম সীমান্ত হত্যা মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির। সাথে থাকেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান, অ্যাডভোকেট নাজিবুল্লাহ বিটু, গাউস মোহাম্মদ বিটু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত বছর ১২ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) কম্পিউন্টার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষেন শিক্ষার্থী সীমান্ত কলেজে যাবার পথে নগরের দেওভোগ এলাকায় মগ্যার্ণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। বাধা দেওয়ায় ছিনতাইকারীরা সীমান্তকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও মুঠোফোন নিয়ে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর গত ১৪ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমান্ত মারা যায়। সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই ছিনতাইকারী অনিক ও আকাশ গত বছর ১৯ ডিসেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্বীকারোক্তিতে অনিক বলেছে গত ১২ ডিসেম্বর ভোরে নগরের দেওভোগ মর্গ্যাণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ছিনতাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল মো. অনিক, আকাশসহ ৩ জন। ওই সময় কলেজে যাবার জন্য ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল শিক্ষার্থী ওয়াজেদ আলম সীমান্ত। ৩ ছিনতাইকারী সীমান্তের ব্যাগ ও মোবাইল ফোনের জন্য তার পথরোধ করেন। সীমান্ত তাতে বাধা দিলে অনিকসহ ৩ ছিনতাইকারী তাকে শরীরের বিভিন্নস্থানে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। জবানবন্দিতে একই ধরণের বক্তব্য দিয়েছে আকাশ।

Ad Placement 1
Ad Placement 2
Islam's Group