৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকাল সাড়ে ১০ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে নারায়ণগঞ্জকে মেট্রোরেলের আওতায় আনার জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ এর আয়োজনে এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ১৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খোরশেদ আলম খন্দকার।
মানববন্ধনে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ 'বৃহত্তর ঢাকার পরিকল্পিত, সমন্বিত এবং আধুনিক ও টেকসই পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা' এবং 'পরিবহন ব্যবস্থার সুষ্ঠু সমন্বয়, পরিবহন পরিকল্পনা এবং দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ৬টি মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ করে ছিল। গত ৭ আগষ্ট আমরা জানতে পারি, এমআরটি-২ প্রকল্প থেকে নারায়ণগঞ্জ অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে এবং নারায়ণগঞ্জকে এমআরটি-৭ এর সাথে যুক্ত করা হবে। আমি পরিস্কার ভাবে বলি, এমআরটি ৭ বলে কিছু নাই। যা আছে তা হলো বিআরটি ৭। বিআরটি-৭ কে মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি-৭ পরিণত করা হবে। অর্থাৎ এমআরটি -৭ কোন পরিকল্পনা নয়, এটি একটি প্রস্তাবনা। যা নারায়ণগঞ্জবাসীর সাথে ভাঁওতাবাজির সামিল। কেন ভাঁওতাবাজি নয়, নারায়ণগঞ্জকে মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি-২ তে যুক্ত করতে হবে। ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী ৬ টি জেলা যথাক্রমে: ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর এবং নরসিংদী জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে ‘ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১২’ এর আওতায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন “ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)” প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাকি ৫ টি জেলাকে মেট্রোরেল প্রকল্পের সাথে যুক্ত করা হলেও ঢাকার একেবারেই নিকটবর্তী নারায়ণগঞ্জকে যখন এমআরটি-২ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়, সেটাকে আমরা নারায়ণগঞ্জের প্রতি অবহেলা এবং ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই চিহ্নিত করি।
তিনি আরো বলেন, সমন্বিত এবং পরিকল্পিত নগর গড়তে প্রধান বাঁধা বি ক্যাটাগরির মর্যাদা সম্পন্ন জেলা এবং সি ক্যাটাগরি'র মর্যাদা সম্পন্ন সিটি কর্পোরেশন। নারায়ণগঞ্জের ভাগ্য আটকে আছে এই বি এবং সি ক্যাটাগরি'র প্রশাসনিক জটিলতায়। নারায়ণগঞ্জের অতীতের জনপ্রতিনিধিরা নারায়ণগঞ্জের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করেনি, তারা ছিল লুটপাটের সহযোগী। ফলে প্রশাসনিক জটিলতা অতিক্রম করে নারায়ণগঞ্জকে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং প্রাপ্যটুকু আদায় করতে তারা কেবল অক্ষমই নয়, অনিচ্ছুকও ছিল। তার খেসারত দিচ্ছে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জবাসী।
আপনার মতামত লিখুন :