বন্দরে চোর আখ্যা দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিকআপ চালক শহিদুল ইসলাম রাহিম(২০) ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার পর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার পরিবারের স্বজন ও এলাকাবাসী।
সোমবার ৫ মে বিকেল পাঁচটায় মুছাপুর ইউনিয়নের বারপাড়া থেকে বিক্ষোভ নিয়ে প্রেমতলা এলাকায় গিয়ে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
এসময় মিছিল থেকে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
মানবন্ধনে বক্তব্যে বক্তারা বলেন, নিরীহ ট্রাক ড্রাইভার রাহিমকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ইকবালসহ তার সহযোগীরা। গত বুধবার রাহিমকে হত্যা করে তারা এখন প্রকাশ্যে ঘুরছে আর তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। আমরা রাহিম হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে আমাদের আবেদন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে রাহিম হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।
মানববন্ধনে নিহত রাহিম এর মা, বোন এবং স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাদের স্বজন হত্যার বিচার দাবি করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নিহত রাহিমের মা রাশিদা, স্ত্রী শাহানা, ছোট বোন উম্মে হাবিবা, মামা দেলোয়ার, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আ. রহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনিক আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আপন, বন্দর উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেনসহ বারপাড়া এলকাবাসী।
উল্লেখ্য গত ২৯এপ্রিল রাতে বন্দরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চোর আখ্যা দিয়ে শহিদুল ইসলাম রাহিম (২০) কে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার ১ মে রাতে ইকবালসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
হত্যা মামলার আসামিরা হলো, বন্দর উপজেলার বারপাড়া এলাকার মৃত রহম উদ্দিন মিয়ার ছেলে ইকবাল মুছাপুর এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন তার স্ত্রী সৃষ্টি বেগম, ছেলে হাসিব বন্দর উপজেলার বারপাড়া এলাকার অহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে হিমেল একই এলাকার অলিউল্লাহ মিয়ার ছেলে মাকসুদ একই এলাকার হযরত আলী মিয়ার ছেলে আমজাদ হোসেন, হযরত আলী মিয়ার ছেলে জামান, আবিল হোসেনের ছেলে রহমত আলী, কলিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে হাবিব উল্ল্যাহ ও বাজুরবাগ এলাকার বাধন।
আপনার মতামত লিখুন :