News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে হাতপাখায় আসছেন মাকসুদ!


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ১০:১৩ পিএম নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে হাতপাখায় আসছেন মাকসুদ!

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীতায় বড় ধরনের চমক থাকতে পারে। আপাতত এ আসনে মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মাওলানা মাসুম বিল্লাহ প্রচারণা করলেও শেষ সময়ে প্রার্থীতার পরিবর্তন ঘটতে পারে। ইতোমধ্যে বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন দেখা করেছেন চরমোনাই পীরের সঙ্গে। দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন। আগামীতে হয়তো এ আসনটি মাকসুদকে দিতে পারে। এতে বন্দরে মাকসুদ সামলাবে আর শহরে ইসলামী আন্দোলন জোটগত দল নিয়ে প্রচারণা করবেন। নানা কারণে বিষয়টি আপাতত গোপন রাখা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক হলে মাসুম বিল্লাহকে নারায়ণগঞ্জ-৪ কিংবা পরবর্তীতে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রের পদে নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে।

এদিকে রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব করা গোলাম মসীহ কয়েক মাস আগে ইসলামী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন হতে লড়বেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) এলাকায় তুরুপের তাস হতে পারেন মাকসুদ হোসেন যিনি মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই সাথে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। যে নির্বাচনে যার প্রতিপক্ষ ছিলো নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবার।

সেই ওসমান পরিবারের মনোনীত প্রার্থীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাকসুদ হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের সংসদ নির্বাচনেও তিনি বেশ আলোচনায় রয়েছেন। সেই সাথে নির্বাচনের হিসেব নিকেস ও নানা সমীকরণে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফল তার দিকে ঘুরিয়ে নিতে পারেন। জনসাধারণে সমর্থনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েও যেতে পারেন।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে ২০২৪ সালের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চমক দেখিয়েছিলেন মাকসুদ হোসেন। সেবারের নির্বাচন যেন তার জন্য টার্নিং পয়েন্ট ছিলো। এই নির্বাচন যেন তার রাজনৈতিক জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। সেবারের নির্বাচনে সরাসরি মাকসুদ হোসেনের বিরোধীতা করেছিলেন তৎকালিন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

শুধুমাত্র বিরোধীতা করেই ক্ষ্যান্ত হননি বরং তার বিরুদ্ধে সমগ্র শক্তি দিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। নানাভাবে তাকে বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো চেষ্টায় কাজে আসেনি। সকল প্রতিকুল পরিস্থিতির মোকাবেলা করে ভোটের ফলাফলে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে যান। ওসমানের পরিবারের মনোনীত প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সকলের নজরে চলে আসেন তিনি।

এরই মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর এই পতনের সাথে সাথে বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ স্থগিত করে দেয়া হয়। সেই সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সাথে সাথে সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়। আর এই আলাপ আলোচনায় সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মাকসুদ হোসেনও জায়গা করে নেন।

সেই সাথে তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়ণে বন্দরের নবীগঞ্জ স্ট্যান্ড থেকে মিনারবাড়ি সড়ক, ধামগড় ইউনিয়নের ইস্পাহানী বাজার থেকে চাঁন মার্কেট পর্যন্ত সড়ক ও মিনারবাড়ি থেকে লাঙ্গলবন্দ সড়ক এই ৩টি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিভিন্ন গর্ত ও খানাখন্দ ভরাট এবং সড়ক ৩টি সংস্কার করে দিয়ে গাড়িচালক, যাত্রীসাধারণ ও জনগণের মন জয় করে নিয়েছেন।

তাছাড়া ব্যক্তিগত অর্থায়ণে বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কিছু রাস্তা, ছোট ছোট ব্রিজ ও ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার, অসহায়দেরকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, ঈদগাহ ও মন্দিরের কল্যাণে আর্থিক সহায়তা এবং অসুস্থদেরকে চিকিৎসা সহায়তা ও খেলাধুলা সহ বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষামূলক কাজে ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই আসনের জনগণের কাছে মাকসুদ হোসেনের একটি পজিটিভ অবস্থান সৃষ্টি হয়।

Islam's Group