হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর ও ডিআইটি রেলকলোনী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আল্লামা আব্দুল আউয়াল বলেছেন, ৪০ বছরে মসজিদের ইতিহাসে কেউ আলোচনার মধ্যে শোরগোল করে নাই। আমাকে ডাইরেক্ট প্রশ্ন করতে পারে নাই। আপনারা এই ধৃষ্টতা দেখাইলেন। এটার বিচার আল্লাহর কাছে দিলাম। আপনারা কেন আল্লাহর ঘরের পরিবেশ নষ্ট করলেন?
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমআর নামাজের খুতবার বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন। আল্লামা আব্দুল আউয়াল বলেন, কাউকে খুশি করার জন্য বলিনি কাউকে বেজার করার জন্য বিলিনি। আমি আমার নীতির উপর অটল। আমি কোরআন হাদীসের দৃষ্টিতে যেটা অন্যায় দেখি জবান দিয়ে সে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে থাকি। আমি বিএনপি আওয়ামী লীগ আট দলকেও ছাড় দেই না। এতে কেউ বাহবা নিতে চাইলে তোমরা খুশী হইও না। তোমাদের খুশি করার জন্য ডিআইটি মিম্বরে বসি নাই।
তিনি আরও বলেন, ভোট কি কোথায় কোন বাক্সে দিবে এটা তার এখতিয়ার। আমি আট দল শব্দটা বলার পরে উনারা ক্ষেপে গেলেন। আমার প্রশ্ন ছিলো আট দল হিসেবে যারা আমরা এখন একমঞ্চে একত্রিত হয়েছি গণতন্ত্রের সিস্টেমে আমরা দেশের ক্ষমতায় আসার পরে আমরা এই সিস্টেমগুলো বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো তো? ইশতেহারে এ বিষয়টা আসুক। আমরা শরীয়তের পরিপূর্ণভাবে পরিচালনা করবো। এই ইশতেহার সারা বাংলাদেশের সমস্ত জনগণের সামনে আপনারা ওয়াদাবদ্ধ অঙ্গিকারাবদ্ধ হন। তার বাহিরে আমরা যদি চলে যাই আমাদের কানে ধরে নামিয়ে দিবেন। চুরি করলে হাট কাটতে হবে যেনা করলে তাকে বাইতুল মোকারমের মতো ওপেন জায়গায় শরীয়ত অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে।
আল্লামা আব্দুল আউয়াল বলেন, সমস্ত ব্যাংকের সুদি পক্রিয়া বন্ধ করে ইসলামী নিয়মের ব্যাংকিং প্রথা চালু করতে হবে। প্রত্যেক অফিস আদালতে ঘুষ চললে কঠোর শাস্তির বিধান প্রণয়ন করতে হবে। শরীয়তের নির্দেশিত পন্থা অনুযায়ী পর্দা প্রথাকে চালু করতে হবে। আট দল একত্রিত হয়ে মানুষকে আশ্বাস দিতেছি আমরা ইসলাম কায়েম করবো। আপনি ইসলাম কোনটা কায়েম করবেন। পরিপূর্ণ ইসলাম কায়েম করতে পারবো কিনা সেই ওয়াদা দিতে হবে। আমি এইটাই বলতে চেয়েছিলাম। এটার একমাত্র পথ হলো খেলাফত। খেলাফত বাস্তবায়ন না হওয়ার পর্যন্ত ইসলামী শাসন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারবো না।
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর বর্তমানে দেশে নির্বাচনকেন্দ্রীক ৮টি ইসলামী দলের জোটের ভবিষ্যৎ ও তাদের প্রতিশ্রুতিকৃত ইসলামী রাষ্ট্র ও ইসলামী হুকুমাতের দেশ গঠনের যে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে তাঁর তীব্র বিরোধীতা নিয়ে ডিআইটি কেন্দ্রীয় রেলওয়ে জামে মসজিদে জুমআর খুতবার বয়ানের সময়ে তুমুল হট্টগোল হয়েছে। জুমবার বয়ান চলাকালে খতিব ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল ৮ দলের কড়া সমালোচনা করেন। ওই সময়ে মসজিদের নিচ তলায় থাকা জামায়াতে ইসলামের কয়েকজন ও পরে ইসলামী আন্দোলনের একাধিক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে হৈ চৈ করতে থাকে। অন্য মুসল্লীরা তখন বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। প্রায় কয়েক মিনিট ধরে চলে তর্ক বিতর্ক। একজনকে তখন মসজিদ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা হলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। পরে অন্যরা দ্রুত সেটা নিস্পত্তি করেন।


































আপনার মতামত লিখুন :